পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৫২

चैकाख Sgr পৌছিলাম। ধারণা ছিল রেলওয়ে কনষ্ট্রাকশনের ইন-চার্জ এস. সি. ভরদ্বাজের অনেক কিছু ঐশ্বৰ্য্য দেখিতে পাইব, কিন্তু গিয়া দেখিলাম হিংসা করিবার মত কিছু নয়। ছোট একটা ছোলদারি তঁবুতে সে থাকে, পাশেই তাহার লতা-পাত খড়কুটা দিয়া তৈরী কুটীরে রান্না হয়। একটি হৃষ্টপুষ্ট বাউরী মেয়ে আগুন জ্বালিয়া কি একটা সেদ্ধ করিতেছিল, আমাকে সঙ্গে করিয়া তীবুর মধ্যে লইয়া গেল। ইতিমধ্যে রামপুরহাট হইতে একজন ছোকরা-গোছের পাঞ্জাবী ডাক্তার আসিয়াছিলেন, তিনি আমাকে সতীশের বাল্যবন্ধু জানিয়া যেন বঁাচিয়া গেলেন। রোগীর সম্বন্ধে জানাইলেন যে কেস সিরিয়াস নয়, প্ৰাণের আশঙ্কা নাই । তঁহার ট্রলি প্ৰস্তুত, এখনি বাহির হইতে না পারিলে হেড-কোয়াটার্স পৌছিতে অতিশয় রাত্ৰি হইয়া যাইবো-ক্লেশের অবধি থাকিবে না। আমার কি হইবে সে তাহার ভাবিবার বস্তু নয় কখন কি করিতে হইবে রীতিমত উপদেশ দিলেন, এবং ঠেলাগাড়ীতে রাওনা হইবার মুখে কি ভাবিয়া তাহার ব্যাগ খুলিয়া গোটা দুই-তিন কৌটা ও শিশি আমার হাতে দিয়া কহিলেন, কলেরা কতকটা ছোয়াচে রোগের মত। ঐ ডোবার জলটা ব্যবহার করতে মান ক’রে দেবেন, এই বলিয়া তিনি মাটি-তোলা খাদটা হাত দিয়া দেখাইয়া কহিলেন, আর যদি খবর পান কুলিদের মধ্যে কারও হয়েছে-হ’তেও পারে-এই ঔষধগুলো ব্যবহার করবেন। এই বলিয়া তিনি রোগের কি অবস্থায় কোনটা দিতে হুইবে বলিয়া দিলেন ! মানুষটি মন্দ নয়, দয়া-মায়া আছে। আমার বাল্যবন্ধু কেমন থাকেন কাল যেন তিনি খবর পান, এবং কুলিদের উপরও যেন দৃষ্টি রাখিতে ভুল না হয়, আমাকে বার বার সাবধান করিয়া চলিয়া a এ হইল ভাল। রাজলক্ষ্মী গিয়াছে বক্ৰেশ্বর দেখিতে, আর রাগ করিয়া আমি বাহির হইয়াছি পথে। পথেই এক ব্যক্তির সহিত সাক্ষাৎ । ল্যকালের পরিচয়, অতএব বাল্যবন্ধু ত বটেই ; তবে বছর পনেরো f ਕiਸਿੰਕਿਲ ਜਿ ਕ ਵਿਸ਼ਿਕਸ਼ਜ ਸ਼