পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

छैकाख উত্তেজিত হইয়া উঠিলেন এবং আমাকেই প্ৰতিপক্ষ জ্ঞানে অত্যন্ত উন্মার সহিত বলিতে লাগিলেন, মশাই, ওদের উদাম বণিক-বুদ্ধির তত্ত্বকথাটুকুকেই সাব সত্য ব'লে বুঝে আছেন, কিন্তু আসলে এতবড় অসৎ বস্তু পৃথিবীতে আর নেই। ওরা জানে শুধু ষোল আনার পরিবৰ্ত্তে চৌষট্টি পয়সা গুনে নিতে, ওরা বোঝে কেবল দেন। আর পাওনা-ওরা শিখেছে শুধু ভোগটাকেই মানবজীবনের একমাত্ৰ ধৰ্ম্ম বলে স্বীকার করতে। তাই ত ওদের পৃথিবীজোড়া সংগ্ৰহ ও সঞ্চয়নের ব্যাসন জগতের সমস্ত কল্যাণ আচ্ছন্ন ক’রে দিয়েছে। মশাই, এই রেল, এই কল, এই লোহা-বঁধানে রাস্তা-এই তি "stofSA vested interest–B GFECT G FRFCK GFRre গৰীবের নিঃশ্বাস ফেলবাব জায়গা নেই। একটুখানি থামিয়া বলিতে লাগিলেন, আপনি বলেছিলেন একের প্ৰয়োজনে অতিরিক্ত বস্তুটুকু চালান দিবার সুযোগ না থাকলে হয় নষ্ট হ’ত, না হয় অভাবগ্রস্তের বিনামূল্যে খেত। একেই অপচয় 6व्यानष्क्लिन्न न ? কহিলাম, হঁয়, তার পক্ষে অপচয় বইকি । বৃদ্ধ প্ৰত্যুত্তরে অধিকতর অসহিষ্ণু হইয়া উঠিলেন। কহিলেন, এসব বিলাতী বুলি, অর্বাচীন অধাৰ্ম্মিকের অজুহাত । কারণ, আর একটু যখন "ষ্টশ চিন্তা করতে শিখবেন, তখন আপনারই সন্দেহ হবে বাস্তবিক এইটেই অপচয়, না, দেশের শস্য বিদেশে রপ্তানি ক’রে ব্যাঙ্কে টাকা জমানোই বেশি অপচয় । দেখুন মশাই, আমাদের গ্রামে গ্রামে জনকতক উদ্যমহীন, উপজািন-বিমুখ উদাসীন প্ৰকৃতির লোক থাকত, তাদের মুদি-ময়রার দোকানে দাবা পাশা খেলে, মড়া পুড়িয়ে, বড়লোকের আড্ডায় গান-বাজনা করে, বারওয়ারীতলায় মুডুলী ক'রে, আরও—এমনি সব অকাজেই দিন কাটত । তাদের সকলেরই যে ঘরের মধ্যে অল্প-সংস্থান থাকত তা নয়, তবু অনেকের উদ্যুত্ত অংশেই তাদের সুখে দুঃখে দিন চলে । আপনাদের অর্থাৎ ইংরেজি-শিক্ষিতদের যত আক্রোশ তাদের 'পরেই তা ? যাক, চিন্তার হেতু নেই, এইসব অলস, অকেজে, পরাশিত মানুষগুলো এখন লোপ পেয়েছে, কারণ উদৱৰ বলে তা আর কোথাও কিছু