পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ăsţe se' আমার হয়ে দিদিকে বলবেন, পশ্চিম মুলুকের মানুষ আপনি, আপনাকে যেন তিনি সে-দেশেই নিয়ে যান। বলিলাম, এ-দেশে কি মানুষ বঁাচে না আনন্দ ? প্ৰত্যুত্তরে আনন্দ লেশমাত্র ইতস্ততঃ না করিয়া কহিলেন, না ; কিন্তু এ দিয়ে তর্ক ক’রে কি হবে দাদা, শুধু আমার সনির্বন্ধ অনুরোধটা র্তাকে জানাবেন । বলবেন, আনন্দ-সন্ন্যাসীর চোখ নিয়ে না দেখলে এর

  • डJठों (दोंदों यदि न ।

মৌন হইয়া রহিলাম। কারণ রাজলক্ষ্মীকে এ অনুরোধ জানানো যে আমার পক্ষে কত কঠিন আনন্দ তাহার কি জানে ? গাড়ী ছাড়িলে তিনি পুনশ্চ কহিলেন, কই, আমাকে ত একবারও বাবার নিমন্ত্রণ করলেন না। দাদা ? মুখে বলিলাম, তোমার কত কাজ, তোমাকে নিমন্ত্রণ করা কি সোজা ভাই ; কিন্তু মনে মনে আশঙ্কা ছিল ইতিমধ্যে পাছে কোনদিন তিনি নিজেই গিয়া উপস্থিত হন। এই তীক্ষুধী সন্ন্যাসীর দৃষ্টি হইতে তখন কিছুই আর আড়ালে রাখিবার যে থাকিবে না। একদিন তাহাতে কিছুই আসিয়া যাইত না, মনে মনে হাসিয়া বলিতাম, আনন্দ, এ জীবনের অনেক কিছুই বিসজ্জন দিয়াছি তাহা অস্বীকার করিব না, কিন্তু আমার লোকসানের সেই সহজ হিসাবটাই শুধু দেখিতে পাইলে, কিন্তু তোমার দেখার বাহিরে যে আমার সঞ্চায়ের অঙ্কটা একেবারে সংখ্যাতীত হইয়া রহিল। মৃত্যু-পারের সে পাথের যদি আমার জমা থাকে এ-দিকের কোন ক্ষতিকেই আমি গণনা করিব না ; কিন্তু আজ ? বলিবার কথা কি ছিল ? তাই নিঃশব্দে নতমুখে বসিয়া চক্ষের পলকে মনে হইল ঐশ্বৰ্যের সে অপরিমেয় গৌরব যদি সত্যিই আজ মিথ্যা মরীচিকায় বিলুপ্ত হইয়া থাকে ত এই গলগ্রহ, ভগ্নস্বাস্থ্য, অবাঞ্ছিত গৃহস্বামীর ভাগ্যে অতিথি আহবান করিবার বিড়ম্বন যেন না। আর ঘটে। আমাকে নীরব দেখিয়া আনন্দ তেমনি হাসিমুখে কহিলেন, আচ্ছা, নুতন করে না-ই যেতে বললেন, আমার সাবেক নিমন্ত্রণ পুজি আছে, "আমি সেই দাবিতে হাজির হতে পারবাে।