পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৭৫

趋和博 কোন সাড়া আসিল না । ভাবিয়াছিলাম কোন সম্পন্ন ব্ৰাহ্মণ-বাটতে আতিথ্য লইতে চলিয়াছি, কিন্তু ঘর-দ্বারের শ্ৰী দেখিয়া মনটা দমিয়া গেল । ওদিকে সাড়া নাই, এদিকে আমার সঙ্গীর অধ্যবসায়ও অপরাজেয়। তাহা না হইলে এই গ্রাম ও এই হাসপাতালে বহুদিন পূর্বেই তাহার রুগ্ন আত্মা স্বৰ্গীয় হইয়া। তবে ছাড়িত। সে ডাকের উপর ডাক দিতে লাগিল। হঠাৎ জবাব আসিল, যা যা, আজ যা । যা-বলছিলোকটি কিছুমাত্র বিচলিত হইল না, প্ৰত্যুত্তরে কহিল, কে এসেছে বার হয়ে দেখুন না । কিন্তু বিচলিত হইয়া উঠিলাম। আমি। যেন, চক্ৰবৰ্ত্তীর পরমপূজ্য গুরুদেব গৃহ পবিত্ৰ করিতে অকস্মাৎ আবিভূতি হইয়াছি। নেপথ্যে কণ্ঠস্বর মুহুর্তে মোলায়েম হইয়া উঠিল-কে রে ভীম ? বলিতে বলিতে গৃহস্বামী দ্বারপথে দেখা দিলেন। পরনের বস্ত্ৰখানি মলিন এবং অতিশয় ক্ষুদ্র, অন্ধকার-প্ৰায় সন্ধ্যার ছায়ায় তাহার বয়স অনুমান করিতে পারিলাম না, কিন্তু খুব বেশি বলিয়াও মনে হইল না । পুনশ্চ জিজ্ঞাসা করিলেন, কে রে ভীম ? W বুঝিলাম, আমার সঙ্গীর নাম ভীম। ভীম বলিল, ভদ্রলোক, বামুন। পথ ভুলে হাসপাতালে গিয়ে হাজির। আমি বললাম, ভয় কি, চলুন না। ঠাকুরমশাইয়ের বাড়ীতে রেখে আসি, গুরু-আদরে থাকবেন। বস্তুতঃ ভীম অতিশয়োক্তি করে নাই, চক্ৰবৰ্ত্তী আমাকে পরম সমাদরে গ্ৰহণ করিলেন। স্বহস্তে মাদুর পাতিয়া বসিতে দিলেন এবং তামাক ইচ্ছা করি। কিনা জানিয়া লইয়া ভিতরে গিয়া নিজেই তামাক সাজিয়া আনিলেন । বলিলেন, চাকারগুলো সব জ্বরে পড়ে রয়েছে-করি কি ! শুনিয়া অত্যন্ত কুষ্ঠিত হইয়া পড়িলাম। ভাবিলাম এক চক্ৰবৰ্ত্তাঁর গৃহ ছাড়িয়া আর-এক চক্ৰবৰ্ত্তীর গৃহে আসিয়া পড়িলাম। কে জানে আতিথ্যটা এখানে কিরূপ দাড়াইবে। তথাপি হুকাটি হাতে পাইয়া টানিবার উপক্ৰম করিয়াছি, সহসা অন্তরাল হইতে ভীষ্ম-কণ্ঠের প্রশ্ন আসিল, हैं शों, cक भांश्च िdलों ?