পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৪৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कiख একদৃষ্টি চাহিয়া আছে। আমাকে ঢুকিতে দেখিয়া রাজলক্ষ্মী তাহার ভিজা চুলের উপর অ্যাচল টানিয়া দিল এবং বঞ্জানন্দ কলরব করিয়া উঠিল, এই যে দাদা ! আপনার দেরি দেখে ভাবছিলাম বুঝি-বা সমস্ত জুড়িয়ে জল 23 शोंश् । রাজলক্ষ্মী হাসিয়া কহিল, হাঁ, তোমার পেটের মধ্যে গিয়ে জুড়িয়ে জল حسبہ 3 ஐகு আনন্দ কহিল, দিদি, সন্ন্যাসী-ফকিরকে খাতির করতে শিখুন। ওবকম কড়া কথা বলবেন না । আমাকে বলিল, কই, তেমন ভাল দেখাচ্ছে না আঁত ! হাতটা একবার দেখবো নাকি !

  • বাজলক্ষ্মী ব্যস্ত হইয়া বলিয়া উঠিল, রক্ষে করে আনন্দ, তোমার আর ডাক্তারিতে কাজ নেই, উনি বেশ আছেন ।

আনন্দ বলিল সেইটাই নিশ্চয় করবার জন্যে হাতটা একবাররাজলক্ষ্মা কহিল, না, তোমাকে হাত দেখতে হবে না। এখখুনি হয়ত সাগুব ব্যবস্থা ক’রে দেবে ! আমি বলিলাম, সাগু আমি ঢের খেয়েছি, সুতরাং ও-ব্যবস্থা ক’রে लिe डांद्ध ९gनद भी । শুনেও তোমার কােজ নেই। এই বলিয়া রাজলক্ষ্মী প্লেটে করিয়া খানকয়েক গরম কচুবি ও সিঙ্গাড়া আমার দিকে বাড়াইয়া দিল। রতনকে কহিত, তোর বাবুকে চা দে । বজানন্দ সন্ন্যাসী হইবার পূবে ডাক্তারি পাশ করিয়াছিল, অতএব সহজে হার মানিবার পাত্র নয় ; সে ঘাড় নাড়িয়া বলিতে গেল, কিন্তু দিদি, একটা দায়িত্ব আপনার রাজলক্ষ্মী তাহার কথার মাঝখানেই থামাইয়া দিল, শোন কথা ! ওঁর দায়িত্ব আমার নয় ত কি তোমার ? আজ পৰ্যন্ত যত দায়িত্ব ঘাড়ে নিয়ে ওঁকে খাড়া রাখতে হয়েছে সে যদি শুনতে তা দিদির কাছে আর ডাক্তারি করতে যেতে না । এই বলিয়া সে বাকি সমস্ত খাবার একটা থালায় ঢালিয়া তাহার দিকে অগ্রসর করিয়া দিয়া সহান্তে কহিল, এখন খাও এগুলো, কখা বন্ধ হোক ।