পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

St শ্ৰীকান্ত রতন বলিল, মা-দুর্গ করুন মায়ের এই মতিটি যেন শেষ পৰ্যন্ত বজায় থাকে। আমরা যে দু-চারদিনেই যাচ্ছি। cकांथांव्र शांछि ? রতন আর একবার দ্বারের বাহিরে নিরীক্ষণ করিয়া লইয়া কহিল, সে খবরটা সঠিক এখনো পাই নি । হয়। পাটনায়, না হয়। কাশীতে, না হয় কিন্তু এ-ছাড়া মা’র বাড়ী ত আর কোথাও নেই । চুপ করিয়া রহিলাম। আমার এত বড় ব্যাপারেও নিরুৎসুকতা লক্ষ্য কবিয়া বোধহয় সে ভাবিল আমি তাহার কথা বিশ্বাস করিতে পারি নাই তাই সে চপা-গলায় সমস্ত শক্তি নিয়োগ করিয়া বলিয়া উঠিল, আমি বলছি। এ সত্যি । যাওয়া আমাদের হবেই ! আ-বঁাচা যায় তা হ’লে, না ? दक्लिलाभ, ईं বতন অতান্ত খুন্সী হইয়া বলিল কষ্ট ক’বে। আর দু-চারদিন সবুর করুন, ব্যস। বড়-জোর হণ্ডা-খানেক, তার বেশি নয়। গঙ্গামাটির সমস্ত ব্যবস্থা মা কুশারীমশাইয়ের সঙ্গে শেষ ক’রে ফেলেছেন, এখন বেঁধে-ছেদে নিয়ে একবার দুৰ্গ-দুৰ্গা ব’লে পা বাড়াতে পারলে হয়। আমবা হলুম সব সহরের মানুষ, এখানে কি কখনো মন বসে ? এই বলিয়া সে খুলীর আবেগে উত্তরেব জন্য প্ৰতীক্ষা না করিয়াই বাহির হইয়া গেল । রতনের অজানা কিছুই নাই। তাহদেরই মত আমিও যে একজন রাজলক্ষ্মীর অনুচরের মধ্যে, এবং ইহার অধিক কিছু নয়। এ-কথা সে জানে। সে জানে, কাহারও কোন মতামতেরই মূল্য নাই, সকলের সমস্ত ভাল লাগা-না-লাগা কত্রীর ইচ্ছা ও অভিরুচির পরেই নির্ভর করে । যে আভাসটুকু রতন দিয়া গেল সে নিজে তাহার মৰ্ম্ম বুঝে না, কিন্তু তাহার বাক্যের সেই নিহিত অর্থ দেখিতে আমার চিত্তপটে সর্বদিক দিয়া পরিস্ফুট হইয়া উঠিল। রাজলক্ষ্মীর শক্তির অবধি নাই, এই বিপুল শক্তি দিয়া পৃথিবীতে সে যেন কেবল নিজেকে লইয়াই খেলা করিয়া চলিয়াছে । একদিন এই খেলায় আমার প্রয়োজন হইয়াছিল, তাহার সেই একাগ্র বাসনার প্রচণ্ড আকর্ষণ প্ৰতিহত করিবার সাধ্য আমার ছিল না, গেইট হইয়া আসিয়াছিলাম। আমাকে সে বড় করিয়া আনে।