পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>粤冷 काछ জনতার মাঝখানে যে-মনের অত্যন্ত সতর্কতায় পদক্ষেপ করিবার কথা, আমার সেই মন যেন নেশার ঘোরে একেবারে আচ্ছন্ন হইয়া রহিল। সন্ধ্যার পরে আমরা সাঁইথিয়ায় আসিয়া পৌছিলাম। রাজলক্ষ্মীর আদেশ ও উপদেশের কোনটাই বন্ধু অবহেলা করে নাই। সে সমস্ত বন্দোবস্ত ঠিক করিয়া নিজে আসিয়া ষ্টেশনের প্ল্যাটফর্মে উপস্থিত ছিল, যথাসমযে ট্রেন আসিলে মালপত্ৰ বোঝাই দিয়া রতনকে চাকরদের কামবায় তুলিয়া দিয়া বিমাতাকে লইয়া গাড়ীতে উঠিল ; কিন্তু আমার সহিত সে বিশেষ কোনরূপ ঘনিষ্ঠতা করিবার চেষ্টা করিল না, কাবণ এখন তাহাব দিব বাড়িয়াছে, ঘর-বাড়ী, টাকা-কড়ি লইয়া এখন সংসারে সে মানুষেব মধ্যে একজন বলিযা পরিগণিত হইয়াছে। বন্ধু বিচক্ষণ ব্যক্তি । সকল অবস্থাকেই মানিয়া লইয়া চলিতে জানে। এ বিদ্যা যাহার অধিগত হইয়াছে পুথিবীতে তাহাকে দুঃখ ভোগ করিতে হয় না । গাড়ী ছাড়িতে তখনও মিনিট-পাঁচেক বাকি ছিল, কিন্তু আমার কলিকাতা যাইবাব ট্রেন আসিবে প্ৰায় শেষরাত্রে । একধাবে স্থির হইয়া দাড়াইয়া ছিলাম, রাজলক্ষ্মী তাঙ্গার জানাল দিয়া মুখ বাড়াইয়া হাতের ইসারায় আমাকে আহবান করিল। নিকটে যাইতেই কহিল, একবার ভিতবে এস ; ভিতরে আসিতে সে হাত ধরিয়া আমাকে পাশ্বে বসাইয়া কহিল, তুমি কি খুব শীঘ্রই বস্ময় চলে যাবে ? যাবার আগে আর একটিবার কি দেখা দিয়ে যাবে না ? কহিলাম, যদি প্ৰয়োজন মনে করা যেতে পারি । রাজলক্ষী চুপি চুপি উত্তর দিল, সংসারে যাকে প্রয়োজন বলে সে নেই। শুধু আর একবার দেখতে চাই। আসবে ? আসবো । কলকাতায় পেঁৗছে চিঠি দেবে ? crer বাহিরে গাড়ী ছাড়িবার শেষ ঘণ্টা বাজিয়া উঠিল, এবং গার্ডসাহেব।” তঁহার সবুজ আলো বার বার নাড়িয়া এই আদেশই কায়েম করিলেন। রাজলক্ষ্মী হেঁট হইয়া আমার পায়ের ধুলো লইয়া আমার হাত হাড়িয়া