পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

› ፃ• দিল । আমি নামিয়া দাড়াইয়া দ্বার রুদ্ধ করিয়া দিতেই গাড়ী চলিতে সুরু করিল। অন্ধকার রাত্রি, ভাল করিয়া কিছুই দেখা যায় না, কেবল ষ্টেশন-প্লাটফন্মের গোটা-কতক কোরোসিনের আলো মন্থরগতিশীল বাড়ীর সেই খোলা জানালার একটি অস্পষ্ট নারীমুক্তির উপরে বার-কয়েক रठाiठनाक°iाङ कव्लि ।

  • ↔ *

কলিকাতায় আসিয়া চিঠি দিলাম, এবং জবাবও পাইলাম। এখানে কাজ বেশি ছিল না, যাহা ছিল তাহ দিন-পনেরোর মধ্যে শেষ হইল । এইবার বিদেশে যাইবার আয়োজন করিতে হইবে ; কিন্তু তাহার পূবেবর্ণি প্ৰতিশ্রুতিমত আর একবার রাজলক্ষ্মীকে দেখা দিতে হইবে । আরও সপ্তাহ-দুই এমনই কাটিয়া গেল। মনের মধ্যে একটা আশঙ্কা ছিল, এতদিনে কি জানি তাহার মতলব হইবে, হয়ত সহজে ছাড়িতে চাহিবে। না, হয়ত অত দূরে যাওয়ার বিরুদ্ধে নানাকপ ওজার-আপত্তি তুলিয়া জিদ করিতে থাকিবে-কিছুই অসম্ভব নয়। এখন সে কাশীতে। তাহাব বাসার ঠিকানাও জানি, ইতিমধ্যে দুই-তিনখানা পত্ৰও পাইয়াছি, এবং ইহাও বিশেষ করিয়া লক্ষ্য করিয়াছি যে, আমার প্রতিশ্রুতির বিষয় কোথাও সে ইঙ্গিতে স্মরণ করাইবার প্রয়াস করে নাই। না করিবারই কথা! মনে মনে বলিলাম, আপনাকে এতখানি ছোট করিয়া আমিও বোধ করি মুখ ফুটিয়া লিখিতে পারিতাম না, তুমি একবার আসিয়া আমাকে দেখা দিয়া যাও । অকস্মাৎ দেখিতে দেখিতে কেমন যেন অধীর হইয়া উঠিলাম । এ জীবনে সে যে এতখানি জড়াইয়া ছিল তাহা কেমন করিয়া যে এতদিন ভুলিয়া ছিলাম ভাবিয়া অবাক হইয়া গেলাম। ঘড়ি খুলিয়া দেখিলাম তখনও সময় আছে, তখনও গাড়ী ধরিতে পারি। বাসায় সমস্ত পড়িয়া, রহিল, বাহির হইয়া পড়িলাম । ইতস্তত বিক্ষিপ্ত জিনিসগুলার প্রতি চাহিয়া মনে হইল-থাক এসকল পড়িয়া । আমার প্রয়োজনের কথা য়ে আমার চেয়েও বেশি করিয়া জানে তাহারই উদেশে যাত্ৰা করিয়া আর -প্রয়োজনের বোঝা বহিব না। রাত্রে ট্রেনের মধ্যে কিছুতেই ঘুম আসিল না, অলস তন্দ্রার ঝোঁকে মুদিত দুই চক্ষুর পাতার উপরে কত খেয়াল, কত