পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫১৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&ীকান্ত দৈবাৎ পিয়ারীর গান শুনিতে বসিয়া এমন কিছু একটা ভাগ্যে মিলিল যাহা যেমন আকস্মিক তেমনি অপরিসীম। নিজের গুণে পাই নাই, নিজের দোষেও হারাই নাই, তথাপি হারানোটাকেই আজ স্বীকার করিতে হইল, ক্ষতিটাই আমার বিশ্ব জুড়িয়া রহিল। চলিয়াছি কলিকাতায়, বাসনা একদিন আবার বর্মীয় পৌঁছিব ; কিন্তু এ যেন সকবস্থি খোয়াইয়া জুয়াড়ীর ঘরে ফেরা। ঘরের ছবি অস্পষ্ট, অপ্ৰকৃত -“শুধু পথটাই সত্য। মনে হয়, এই পথের চলাটা যেন আর না ফুরায় । আঁ্যা । এ কি, শ্ৰীকান্ত যে ! এ যে একটা ষ্টেশনে গাড়ী থামিয়াছে সে খেয়ালও করি নাই । দেখি, আমার দেশের ঠাকুর্দা ও রাঙাদিদি ও একটি সতেরআঠার বছরের মেয়ে ঘাড়ে, মাথায় ও কঁাখে একরাশ মোটঘাট লইয়া প্লাটফৰ্ম্মে ছুটোছুটি করিয়া অকস্মাৎ আমার জানালার সম্মুখে আসিয়া থামিয়াছেন। ঠাকুর্দা বলিলেন, উঃ কি ভিড়। একটা ছুচি গলাবার জায়গা নেই! এই তা তিন-তিনটে মানুষ ! তোমার গাড়ীটি ত দিব্যি খালি- উঠবো ? উঠুন, বলিয়া দরজা খুলিয়া দিলাম। র্তাহারা তিন-তিনটে মানুষ হঁপাইতে হাঁপাইতে উঠিয়া যাবতীয় বস্তু নামাইয়া রাখিলেন, ঠাকুর্দা কহিলেন, এ বুঝি বেশি ভাড়ার গাড়ী, আবার দণ্ড লাগবে। मा एङ ? বলিলাম, না, আমি গার্ডসাহেবকে বলে দিয়ে আসছি। গার্ডকে বলিয়া যথাকীৰ্ত্তব্য সমাপন করিয়া যখন ফিরিয়া আসিলাম তখন তাহারা আরামে নিশ্চিন্ত হইয়া বসিয়াছেন। গাড়ী ছাড়িলে রাঙাদিদি আমার দিকে নজর দিলেন, চমকিয়া বলিলেন,