পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

viv গেছে ? গহর মুহুৰ্ত্তে গভীর হইয়া উঠিল, বলিল, সে কি যাবার রে ? ঐ নিয়েই তা বেঁচে আছি। যতদিন জীবন থাকবে, ততদিন ঐ নিয়েই থাকবো। কত লিখোঁচি, চল না। আজ তোকে সমস্ত রাত্রি শোনাবো। তবু ফুরোবে না। বল কি গহর ? নয় ত কি, তোরে মিথ্যে বলচি ? প্ৰদীপ্ত কবি-প্ৰতিভায় তাহার চোখ-মুখ ঝকঝকি করিতে লাগিল। সন্দেহ করি নাই, শুধু বিস্ময় প্ৰকাশ করিয়াছিলাম। তথাপি পাছে কেঁচো খুড়িতে সাপ বাহির হয়, আমাকে ধরিয়া বসাইয়া সে সারারাত্রি ব্যাপিয়া কাব্যচৰ্চা করে, এই ভয়ে শঙ্কার সীমা রহিল না। প্ৰসন্ন করিতে বলিলাম, না গহর, তা বলি নি, তোমার অদ্ভুত শক্তি আমরা সবাই স্বীকার করি, তবে, ছেলেবেলার কথা মনে আছে কিনা তাই শুধু বলছিলাম। তা বেশ, বেশ-এ একটা বাঙলা দেশের কীৰ্ত্তি হয়ে থাকবে। কীৰ্ত্তি ? নিজের মুখে কি আর বলব ভাই, আগে শোন, তার পরে হবে কথা । কোন দিক দিয়াই নিস্তার নাই। ক্ষণকাল স্থির থাকিয়া কতকটা যেন নিজের মনেই বলিলাম, সকাল থেকেই শরীরটা এমন বিশ্ৰী ঠেকচে যে, মনে হচ্চে ঘুমোতে পেলে গহর কানও দিল না, বলিল, পুষ্পক রথে সীতা যেখানে কঁদতে কঁদতে গয়না ফেলে দিচ্চেন। সে জায়গাটা যারা শুনেচে চোখের জল রাখতে পারে নি। শ্ৰীকান্ত । চোখের জল যে আমিই রাখিতে পারিব সে সম্ভাবনা কম । বলিলাম, কিন্তু গহর কহিল, আমাদের সেই বুড়ো নয়নচাঁদ চক্রবর্তীকে তোর মনে আছে ত, তার জ্বালায় আমি আর পারি নে। যখন তখন এসে বলবে, গহর, সেইখানটা একবার পড় দেখি শুনি। বলে, বাবা,