পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্তু س ভরিয়া তামাক টানিয়া প্ৰবল বেগে কাশিতেছিল, থুথু ফেলিয়া ঢোক গিলিয়া অনেকটা সামলাইয়া লইয়া হাত নাড়িয়া নিষেধ করিল। বলিল, বনেবাদাড়ে মেলাই যাবেন না বলে দিচ্চি। গহর বিরক্ত হইয়া উঠিল-কেন বে ? নবীন জবাব দিল, গোটা দুক্তিন শিয়াল ক্ষেপেছে-গক-মনিষিঃ একসাই কামডে বেড়াচে । আমি সািভয়ে পিছাইয়া দাড়াইলাম। কোথায় হে নবীন ? কোথায় সে কি দেখে বেখেচি ? আছেই কোন ঠাই ঝোপে। ঝাড়ে। যান ত একটু চােখ রেখে চলবেন। তাহলে কাজ নেই ভাই গহব। বাঃ-রেঃ ! এই সময়টায় শিয়াল-কুকুব একটু ক্ষ্যাপেই-তা বলে লোকজন রাস্তায় চলবে না কি ? বেশ ত ! এ-ও দখিন হাওয়ার ব্যাপার। অতএব, প্ৰকৃতির শোভা দেখিতে সঙ্গে যাইতেই হইল। পথের দুধারে আমবাগান। কাছে আসিতেই অগণিত ছোট ছোট পোড়া চড়াচড় পটপট শব্দে আম্রমুকুল । ছাড়িয়া চোখে নাকে মুখে জামার ভিতরে ঢুকিয়া পডিল, শুকনা পাতায় আমের মধু ঝরিয়া চটচটে আঠার মত হইয়াছে, সেগুলা জুতার তলায় জড়াইয়া ধরে, অপ্ৰশস্ত পথের অধিকাংশ বেদখল করিয়া বিরাজিত ঘেটু গাছের কুঞ্জ, মুকুলিত, বিকশিত পুষ্পসম্ভারে । একান্ত নিবিড়-মনে পড়িয়া গেল নবীনের সতর্কবাণী। গহবেব মতে কালটা ক্ষেপিাবার উপযোগী। সুতরাং ঘেটু ফুলের শোভা সময় মত আর একদিন না হয় উপভোগ করা যাইবে, আজ গহর ও আমি, অর্থাৎ নবীনের গরু-মনিধি” একটু দ্রুতপদেই স্থানত্যাগ कब्लिभ । বলিয়াছি, আমাদেরই গ্রামের নদী ইহাদের গ্রাম প্ৰান্তে