পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তিন সশব্দ উদগারে চমকিত করিয়া রতন দেখা দিল । কি রতন, পেট ভরলে ? আজ্ঞে হাঁ। কিন্তু আপনি যাই বলুন বাবু, আমাদের কলকাতায় বাঙালী বামুন-ঠাকুর ছাড়া রান্নার কেউ কিছু জানে না। ওদের ঐসব মেডুয়া-মহারাজগুলোকে তা জানোয়ার বললেই হয়। উভয় প্রদেশের রান্নার ভালো-মন্দ, অথবা পাচকের শিল্পনৈপুণ্য লইয়া রতনের সঙ্গে কখনো তর্ক করিয়াছি বলিয়া মনে পড়িল না ; কিন্তু রতনকে যতদূর জানি তাহাতে বুঝিলাম সুপ্রচুর ভোজনে সে পরিতুষ্ট হইয়াছে। না হইলে পশ্চিম পাচকদের সম্বন্ধে এমন নিরপেক্ষ সুবিচার করিতে পারিত না । কহিল, গাড়ীর ধকন্সটা ত সামান্য নয়, একটু আড়মোড়া ভেঙ্গে গড়িয়ে না। भिव्ल বেশ ত রতন, ঘরে হোক, বারান্দায় হোক, একটা বিছানা পেতে শুয়ে পড়ে গে। কাল সব কথা হবে। কি জানি কেন, চিঠির জন্য উৎকণ্ঠ ছিল না। মনে হইতেছিল BDB BBD DBDD DBDDSD TBBDS রতন ফতুয়ার পকেট হইতে একখানা খাম বাহির করিয়া হাতে দিল। আগাগোড়া গালা দিয়া শিলমোহর করা। বলিল, বারান্দার ঐ দক্ষিণের জানালার ধারে বিছানাটা পেতে ফেলি। মশারি খাটাবার হাঙ্গামা নেই-কলকাতা ছাড়া এমন সুখ কি আর কোথাও আছে ! যাই কিন্তু খবর সব ভালো ত রতন ? রক্তন মুখখানা গভীর করিয়া বলিল, তাই ত দেখায়। গুরুদেবের কৃপায় বাড়ীর বাইরেটা গুলজার, ভেতরে দাসদাসী, বন্ধুবাবু, নতুন বৌমা এসে ঘরদের আলো করেছেন, আর সবার ওপরে