পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত R কিন্তু আমাকে যে তিনি নিজেই বিদায় করেছেন এ খবর ত তুমি জানো রতন ? রতন জিভ কাটিয়া লজ্জায় মরিয়া গেল। এতটা বিনয় কখনো তাহার পূর্বে দেখি নাই। বলিল, আমরা চাকয়বােকর বাবু, এসব কথা আমাদের কানেও শুনতে নাই। ও মিথ্যে। রতন আড়মোড়া ভাঙ্গিয়া একটু গড়াইয়া লইতে প্ৰস্থান করিল। বোধ কবি কাল আটটার পূর্বে আর তার দেহটা asso eft দুটো বড় খবৰ পাওয়া গেল। একটা এই যে বন্ধু বড় “হুইয়াছে । পাটনায় যখন তাহাকে প্ৰথম দেখি তখন বয়স তাহাব ষোল-সতের, এখন একুশ বৎসবেব যুবক। উপরন্তু এই পাঁচছয় বৎসরের ব্যবধানে সে লেখাপড়া শিখিয়া মানুষ হইয়া উঠিয়াছে। সুতরাং শৈশবের সেই সকৃতজ্ঞ স্নেহ যদি আজ যৌবনের আত্মসম্মানবোধে সামঞ্জস্য রাখিতে না পারে বিস্ময়ের কি আছে ? দ্বিতীয় সংবাদ-না বন্ধু, না গুরুদেব, বাজলক্ষ্মীর গভীবতম বেদনবি কোনও সন্ধান আজও তাঁহাদের জানা নাই । মনের মধ্যে এই কথা দুটাই বহুগুণ ধবিয়া নড়িয়া বেড়াইতে ठाiब्न् ि। সযত্ন অঙ্কিত শিলমোহবোবা গালার ছাপগুলো দেখিয়া লইয়া চিঠি খুলিলাম। তাহার হাতের লেখা বেশী দেখিবার সুযোগ ঘটে নাই, কিন্তু স্মরণ হইল হস্তাক্ষর দুষ্পাঠ্য না হইলেও ভালো নয় ; কিন্তু এই পত্ৰখানি সে অত্যন্ত সাবধানে লিখিযাছে, বোধ হয় তাহার ভয়, বিরক্ত হইয়া আমি না ফেলিয়া রাখি। যেন আগাগোড়া সবটুকুই সহজে পড়িতে পারি। আচার-আচরণে রাজলক্ষ্মী সে যুগের মানুষ। প্ৰণয় নিবেদনের