পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ¢ छैकास्छु ভাষায় রমণীর প্রণয়-নিবেদনের কাহিনী ইহার পূর্বে কখনো পুস্তকেও পড়ি নাই, লোকোব মুখেও শুনি নাই এবং ইহা অভিনয় যে নয়, তাহা নিজেব চোখেই দেখিতেছি। কমললতা দেখিতে ভালো, অক্ষব-পবিচয়হীন মূর্থিও নয, তাহাব কথাবার্তায়, তাহাব গানে, তাহাব যত্ন ও অতিথিসেবাব আন্তরিকতাষ তাহাকো অামার ভালো লাগিয়াছে এবং সেই ভালো-লাগাটা প্ৰশস্তি ও বসিকতার অত্যুক্তিতে ফলাও কবিয়া তুলিতে নিজেও কৃপণতা কবি নাই, কিন্তু দেখিতে দেখিতে পবিণতি যে এমন ঘোবালো হইযা উঠবে, বৈষ্ণবীর আবেদনে, অশ্রুমোচনে ও মাধুৰ্য্যোব অকুষ্ঠিত আত্মপ্রকাশে সমস্ত মন যে এমন তিক্তত{য পবিপূর্ণ হইয়া যাইবে, ক্ষণকাল পূর্বেও তােহা কি জানিতাম ! যেন হতবুদ্ধি হইয়া গেলাম। কেবল লজাতেই যে সৰ্ব্বাঙ্গ কণ্টকিত হইল। তাই নয়, কি একপ্ৰকাব অজানা বিপদের আশঙ্কায় অন্তবেব কোথাও আর শান্তি-স্বস্তি রহিল না । জানি না, কোন অশুভলগ্নে কাশী হইতে যাত্ৰা করিয়াছিলাম, এ যে এক পুটু জাল কাটিয়া আব্ব এক পুটুর ফঁাদে গিয়া ঘাড়মোড় গুজিয়া পড়িলাম। এদিকে বয়স ত যৌবনের সীমানা ডিঙ্গাইতেছে, এই সময়ে অযাচিত নারীপ্রেমের বন্যা নামিল নাকি, কোথায় পলাইয়া যে আত্মবীক্ষা করিব ভাবিয়া পাইলাম না। যুবতী-ব্রমণীর প্রণয়ভিক্ষাও যে পুরুষের কাছে এত অরুচিকব হইতে পারে তাহাব ধাবণ ও ছিল না । ভাবিলাম, অকস্মাৎ মূল্য আমার এত বাড়িল কি করিয়া ? আজি বাজলক্ষ্মীর প্রয়োজনও আমাতে শেষ হইতে চাহে না-বজমুষ্টি এতটুকু শিথিল করিয়াও আমাকে সে নিস্কৃতি দিবে না। এ মীমাংসা চুকিয়াছে ; কিন্তু এখানে আর না । সাধুসঙ্গ মাথায় থাক, স্থির করিলাম, কালই এ স্থান ত্যাগ করিব। বৈষ্ণবী হঠাৎ চকিত হইয়া উঠিল—এই যায়। তােমার জন্যে যে চা আনিয়েচি গোঁসাই ।