পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৫৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত وه বলো কি ? পেলে কোথায় ? সহরে লোক পাঠিয়েছিলুম। যাই, তৈরি করে, আনি গে। কোথাও পালিয়ে না যেন । না ; কিন্তু তৈরী করতে জানো ত ? বৈষ্ণবী জবাব দিল না, শুধু মাথা নাড়িয়া হাসিমুখে চলিয়া (?iშ| 1 সে চলিয়া গেলে সেই দিকে চাহিয়া মনেব মধ্যে কেমন একটা ব্যথা বাজিল। চা-পান আশ্রমের ব্যবস্থা নয়, হয়ত নিষেধই আছে, তবু ও-জিনিষটা যে আমি ভালোবাসি। এ খবর সে জানিয়াছে এবং সহবে লোক পঠাইয়া সংগ্ৰহ কবিয়াছে। তাহার বিগত জীবনের ইতিহাস জানি না, বৰ্ত্তমানোবও না, কেবল আভাসে এইটুকু শুনিয়াছি তাহা ভালো নয়, তাহ নিন্দাহঁ, শুনিলে লোকের ঘূণা জন্মে। তথাপি, আমােব কাছে সে-কাহিনী সে লুকাইতে চাহে নাই, বলিবার জন্যই বােব বার পীড়াপীডি করিয়াছে, তবু আমিই শুনিতে রাজী হই নাই। আমার কৌতুহল নাই-কারণ, প্রয়োজন নাই। প্ৰয়োজন তাহাব। একলা বসিয়া সেই প্ৰয়োজনের কথাটা ভাবিতে গিয়া স্পষ্ট দেখিতে পাইলাম, আমাকে না বলিয়া তাহার অস্তষ্ট্রের গ্লানি ঘুচিতেছে না।—মনের মধ্যে সে কিছুতেই জোর পাইতেছে না । শুনিয়াছি আমার শ্ৰীকান্ত নামটা কমললতার উচ্চারণ করিতে নাই। জানি না কে তাহার এই পরমপূজ্য গুরুজন এবং কবে সে ইহলোক হইতে বিদায় হইয়াছে।। দৈবাৎ আমাদের নামের মিলিটাই বোধ করি এই বিপত্তির সৃষ্টি করিয়াছে এবং তখন হইতে কল্পনায় সে গতি জনমের স্বপ্ন-সাগরে ডুব মারিয়া সংসারের সকল বাস্তবতায় জলাঞ্জলি দিয়াছে । তবু মনে হয় বিস্ময়ের কিছু নাই। রসের আরাধনায় আকণ্ঠ মগ্ন থাকিয়াও তাহার একান্ত নারী-প্ৰকৃতি আজও হয়ত রসের