পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(O শ্ৰীকান্ত আমার বুকখানা হাল্কা ক’রে ফেলি। বল, তোরা আমার সব কথা আজ বিশ্বাস করবি ? বলিতে বলিতেই তাহার শেষের কথাগুলি কেমন একরকম ८यन छाझै छठेग्ना छैठेल । আমি নিজে এতক্ষণ প্ৰায় কোন কথাই কহি নাই। এইবার সর্বাগ্ৰে জোব করিয়া বলিযা উঠিলাম, আমি তোমার সব কথা বিশ্বাস করব দিদি ৷ সব-যা বলবে সমস্ত । একটি কথাও আবিশ্বাস করব না। তিনি আমার প্রতি চাহিয়া একটুখানি হাসিয়া বলিলেন, বিশ্বাস করবে: বৈ কি ভাই ! তোমরা যে ভদ্রলোকোব ছেলে। যারা ইতর তারাই শুধু অজানা অচেনা লোকের কথায় সন্দেহে ভয়ে পিছিয়ে দাডায় । তা ছাড়া, আমি ত কখনও মিথ্যে কথা কইনে ভাই ! বলিয়া তিনি আর একবার আমার প্রতি চাহিয়া মানভাবে একটুখানি হাসিলেন। তখন সন্ধ্যার ঝান্স কাটিয়া গিয়া আকাশে চাঁদ উঠিয়াছিল এবং তাহারই অফুট কিরণ-রেখা গাছের ঘন-বিন্যস্ত ডাল ও পাতার ফাঁক দিয়া নীচের গাঢ় অন্ধকারে ঝবিয়া পডিতেছিল। কয়েক মুহুর্ত নীরব থাকিয়া, দিদি হঠাৎ বলিয়া উঠিলেন, ইন্দ্রনাথ, মনে ৰূবেছিলুম, আজই আমার সমস্ত কথা তোমাদের জানিয়ে দেব। কিন্তু ভেবে দেখছি, এখনও সে সময় আসেনি। আমার এই কথাটুকু আজ শুধু বিশ্বাস করো ভাই, আমাদের আগাগোড়া সমস্তই ফাকি। আর তুমি মিথ্যে আশা নিয়ে শাহ জীর পিছনে পিছনে ঘুরে বেড়িয়ে না-আমরা মন্ত্ৰ-তন্ত্র কিছুই জানিনে, মাড়াও বঁচাতে পারিনে ; কড়ি চেলে সাপ ধবে আনতেও পারিনে। আর কেউ পারে কি না জানিনে, কিন্তু আমাদের কোন ক্ষমতাই নেই। DD D BBDS DDD DD DDBBBB BBBBDDD S LLDB sLDBY কথাটি অসংশয়ে বিশ্বাস করিলাম ; কিন্তু এতদিনের ঘনিষ্ঠ পরিচয়েও ইন্দ্ৰ পারিল না। সে ক্রুদ্ধ হইয়া কহিল, যদি পাের না, তবে সাপ ধরলে কি করে ? দিদি বলিলেন, ওটা শুধু হাতের কৌশল, ইন্দ্ৰ, কোন মন্ত্রের জোরে নয়। সাপের মন্ত্র আমরা জানিনে ।