পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

See কাপ্ত মালা আজ তাদের পরাতে পারবো না । শুনিয়া মন কেমন করিয়া উঠিল-সেই নিজীবি পুতুলগুলার জন্যেই ; বলিলাম, স্নান করে তবে আমি তুলে এনে দিই ? তা যাও, কিন্তু এত ভোরে নাইতে পাবে না ! অসুখ করবে। জিজ্ঞাসা করিলাম, বড়গোসাইজীকে দেখচি নে কেন ? বৈষ্ণবী কহিল, তিনি ত এখানে নেই, পরশু নবদ্বীপে গেছেন তঁর 邻夺沉际可7夺〔际邻7丐目 কবে ফিরবেন ? সে তা জানি নে গোসাই । এতদিন মাঠে থাকিয়া ও বৈরাগী দ্বারিকান্দাসের সহিত ঘনিষ্ঠতা হয় নাই। কতকটা আমার নিজের দোষে, কতকটা তঁহার নির্লিপ্ত স্বভাবেব জন্য। বৈষ্ণবীব মুখে শুনিয়া ও নিজের চোখে দেখিয়া জানিয়াছি-ও লোকটির মধ্যে কপটতা নাই, অনাচার নাই, আর নাই মাষ্টারি করিবার ঝোক। বৈষ্ণব-ধৰ্ম্মগ্রন্থ লইয়া অধিকাংশ সময় তাহার নির্জন ঘরের মধ্যে কাটে। ইহার ধৰ্ম্মমতে আমার আস্থাও নাই, বিশ্বাসও নাই, কিন্তু এই মানুষটির কথাগুলি এমন নয়। চাহিবার ভঙ্গা এমন স্বচ্ছ ও গভীর, বিশ্বাস ও নিষ্ঠায় অহর্নিশ { এমন ভবপুর হইয়া আছেন যে, তাহার মত ও পথ লইয়া বিরুদ্ধ আলোচনা করিতে শুধু সঙ্কোচ নয়, দুঃখ বোধ হয়। আপনিই বুঝা যায়। এখানে তর্ক করিতে যাওয়া একেবারে নিম্বফল । একদিন সামান্য একটুখানি যুক্তির অবতারণা করায় তিনি হাসিমুখে এমন নীরবে চাহিয়া রহিলেন যে কুণ্ঠায় আমার মুখেও আর কথা রহিল। না। তারপর হইতে তঁহাকে সাধ্যমত এড়াইয়া চলিয়াছি। তবে, একটা কৌতুহল ছিল। এতগুলি নারী-পরিবৃত থাকিয়া নিরবচ্ছিন্ন রসের অনুশীলনে নিমগ্ন রহিয়াও চিত্তের শান্তি ও দেহের