পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

08 à שוא& নিৰ্ম্মলতা অক্ষুন্ন রাখিয়া চলার রহস্য, ইচ্ছা ছিল যাইবার পূর্বে তাহাকে জিজ্ঞাসা করিয়া যাইব ; কিন্তু সে সুযোগ এ যাত্রায় বোধ করি। আর মিলিল না। মনে মনে বলিলাম, আবার যদি কখনো আসা হয় তা তখন দেখা যাইবে । বৈষ্ণবের মঠেও বিগ্ৰহ-মূৰ্ত্তি সচরাচর ব্ৰাহ্মণ ব্যতীত অন্যে স্পর্শ করিতে পাবে না, কিন্তু এ আশ্রমে সে বিধি ছিল না। ঠাকুরের বৈষ্ণব-পূজারী একজন বাহিরে থাকে, সে আসিয়া যথারীতি আজও পূজা করিয়া গেল, কিন্তু ঠাকুবেব সেবার ভােব আজ অনেকখানি আসিয়া পড়িল অমাব পাবে। বৈষ্ণবী দেখাইয়া দেয়, আমি করি সব, কিন্তু রহিয়া রহিয়া সমস্ত অন্তর তিক্ত হইয়। উঠে। এ কি পাগলামি আমাকে পাইয়া বসিতেছে! তথাপি আজও যাওয়া বন্ধ বহিল। আপনাকে বোধ হয় এই বলিযা বুঝাইলাম যে, এতদিন এখানে আছি ও বিপদে ইহাদেব ফেলিয়া যাইব কিরূপে ? সংসাবে কৃতজ্ঞতা বলিয়াও ত একটা কথা আছে ! আরও দুই দিন কাটিল, কিন্তু আর না। কমললতা সুস্থ হইয়াছে, পদ্মা ও লক্ষ্মী-সৰস্বতী দুই বোনেই সাবিয়া উঠিয়াছে। দ্বারিকান্দাস গত সন্ধ্যায় ফিরিয়াছেন, তঁহার কাছে বিদায় লইতে গেলাম। গোঁসাইজী কহিলেন, আজ যাবে গোঁসাই ? আবার কবে আসবে ? সে তা জানি নে গোঁসাই। কমললতা কিন্তু কেঁদে কেঁদে সারা হয়ে যাবে। আমাদের কথাটা ইহার কানেও গিয়াছে জানিয়া মনে মনে অত্যন্ত বিরক্ত হইলাম, সে কঁদতে যাবে কিসের জন্যে ? গোঁসাইজী একটু হাসিয়া বলিলেন, তুমি জানো না বুঝি ? a