পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

of শ্ৰীকান্ত ওর স্বভাবই এমনি। কেউ চলে গেলে ও যেন শোকে সারা ईयू यीश् । কথাটা আরও খারাপ লাগিল, বলিলাম, যার স্বভাব শোক করা সে করবেই। আমি তাকে থামাবো কি দিয়ে ? কিন্তু বলিয়াই র্তাহার চোখের পানে চাহিয়া ঘাড় ফিরাইয়া দেখিলাম আমারই পিছনে দাড়াইয়া কমললন্ত । দ্বারিকান্দাস কুষ্ঠিত স্বরে বলিলেন, ওর ওপর রাগ ক’রো না গোঁসাই, শুনেচি ওরা তোমার যত্ন করতে পারে নি, অসুখে পড়ে তোমাকে অনেক খাটিয়েছে, অনেক কষ্ট দিয়েছে। আমার কাছে কাল নিজেই বড় দুঃখ করছিলো। আর বেষ্টম-বৈরাগীর আদর যত্ন করবার কিই বা আছে ! কিন্তু আবার যদি কখনো তোমার এদিকে আসা হয় ভিখিরীদের দেখা দিয়ে যেয়ো। দেবে ত গোঁসাই ? ঘাড় নাড়িয়া বাহির হইয়া আসিলাম, কমললতা সেইখানে তেমনি দাড়াইয়া রহিল ; কিন্তু অকস্মাৎ এ কি হইয়া গেল ! বিদায় গ্রহণের প্রাক্কালে কত কি বলার, কত কি শোনার কল্পনা ছিল, সমস্ত নষ্ট করিয়া দিলাম। চিত্তের দুর্বলতার গ্লানি অন্তরে ধীরে ধীরে সঞ্চিত হইতেছিল তাহা অনুভব করিতেছিলাম, কিন্তু উত্ত্যক্ত অসহিষ্ণু মন এমন অশোভন রূঢ়তায় যে নিজের মৰ্য্যাদা খর্ব করিয়া বসিবে, उोंश् याभe उठादि नाई । নবীন আসিয়া উপস্থিত হইল। সে গহরের খোজে আসিয়াছে। কাল হইতে এখনও সে গৃহে ফিরে নাই। আশ্চৰ্য্য হইয়া গেলামসে কি নবীন, সে ত এখানেও আর আসে না । নবীন বিশেষ বিচলিত হইল না, বলিল, তবে বোধ হয় কোন বনবাদাড়ে ঘুরচে-নাওয়া খাওয়া বন্ধ করেছে-এইবার কখন সাপে কামড়ানোয় খবরটা পেলেই নিশ্চিন্দি হওয়া যায়।