পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

V39Y শ্ৰীকান্ত হয়ে শুনতুম-সেই- কোথা গেলি প্ৰাণের প্রাণ বাপ দুৰ্য্যোধন 6-4-4-4-6- হাসি চাপিতে সে মুখে আঁচল চাপা দিল, আমিও হাসিয়া ফেলিলাম। রাজলক্ষ্মী কহিল, কিন্তু বডড ভাবের গান। তোমার মুখে শুনলে গোরু-বাছুরের চোখেও জল এসে পড়তো-মানুষ ত কোন ছাত্র । রতনের পায়ের শব্দ পাওয়া গেল। অনতিবিলম্বে সে দ্বারের কাছে দাড়াইয়া বলিল, আবার চায়ের জল চড়িয়ে দিয়েছি মা, তৈরী হতে দেরী হবে না-এই বলিয়া সে ঘরে ঢুকিয়া চায়ের বাটিটা হাতে তুলিয়া লইল । রাজলক্ষ্মী আমাকে বলিল, আর দেরী ক’রো না, ওঠে । এবার চা ফেলা গেলে রতন ক্ষেপে যাবে। ওর অপব্যয় সহ্যু হয় না। কি বলিস রতন ? রতন জবাব দিতে জানে। কহিল, আপনার না সইতে পারে মা, কিন্তু বাবুর জন্যে আমার সব সয়।-এই বলিয়া সে বাটটা লইয়া চলিয়া গেল। তাহার রাগ হইলে রাজলক্ষ্মীকে সে “আপনি বলিত, না হইলে “তুমি’ বলিয়া ডাকিত। রাজলক্ষ্মী বলিল, রতন তোমাকে সত্যিই বড় ভালবাসে । বলিলাম, আমারও তাই মনে হয়। হাঁ। কাশী থেকে তুমি চলে এলে ও ঝগড়া করে আমার কাজ ছেড়ে দিলে। রাগ করে বললুম, আমি যে তোর এত করলুম। রতন, তার কি এই প্ৰতিফল ? ও বললে, রতন নেমকহারাম নয় মা। আমিও চললুম। বৰ্ম্মায়, তোমার ঋণ আমি বাবুর সেবা ক’রে শোধ দেবো। তখন হাতে ধরে, ঘাট মেনে তবে ওকে শান্ত করি।