পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-কান্তি Ses এতো বিনয় কেন বলো ত ? বিনন্য তা নয়, সত্যি। আপনার ওজন বুঝে চলি নি, তোমাকে মানি নি, তাই অপরাধের পর অপরাধ করে কেবলই সাহস বেডে গেছে। আজ আমার সেই লক্ষ্মীর অধিকার তোমাব কাছে আর নেই-নিজের দোষে হারিয়ে বসে আছি। চাহিয়া দেখিলাম তাহার চােখে জল আসিয়াছে, বলিল, শুধু আজকের দিনটির জন্য হুকুম দাও, আমি মায়ের আরতি দেখে अनेि 65 । বলিলাম, না হয়। কাল যেয়ো । নিজেই বললে সারারাত জেগে৷ বসে আমার সেবা করেচে-আজ তুমি বড় শ্ৰান্ত । না, আমার কোন শ্ৰান্তি নেই। শুধু আজ বলে নয়, কত অসুখেই দেখেচি রাতেব পাব বাত জেগেও তোমাব সেবায় আমাব কষ্ট হয় না। কিসে আমার সমস্ত অবসাদ যেন মুছে দিয়ে যায়। কতদিন হলো ঠাকুরদেবতা ভুলে ছিলুম, কিছুতে মন দিতে পাবি নি-লক্ষ্মীটি, আজ আমাকে মান ক’রো না-আবার হুকুম দাও। তবে চলো, দুজনে একসঙ্গে যাই । রাজলক্ষ্মীর দুই চক্ষু উল্লাসে উজ্জল হইয়া উঠিল, কহিল, তাই চলে। ! কিন্তু মনে মনে ঠাকুরদেবতাকে তাচ্ছিল্য করবে না। ত ? বলিলাম, শপথ করতে পারবো না ; বরঞ্চ তোমার পথ চেয়ে আমি মন্দিরের দোরে দাডিয়ে থাকবো । আমার হয়ে দেবতার কাছে তুমি বর চেয়ে নিও। কি বর চাইবো, বলে ? অল্পের গ্ৰাস মুখে করিয়া ভাবিতে লাগিলাম, কিন্তু কোন কামনাই খুজিয়া পাইলাম না। সে কথা স্বীকার করিয়া প্রশ্ন করিলাম, বলে। ত লক্ষ্মী, কি আমার জন্যে তুমি চাইবে ? রাজলক্ষ্মী বলিল, চাইবো আয়ু চাইবো স্বাস্থ্য, আর চাইবো আমার ওপর এখন থেকে যেন তুমি কঠিন হতে পারে। প্রশ্ৰয়