পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ya) শ্ৰীকান্ত আমি বলিলাম, ফুলের মালা নয়, পাকা বঁইচি ফলের মালা। সে যাকে দেবে সে-ই খেয়ে ফেলবে। কমললতা হাসিতে লাগিল, রাজলক্ষ্মী বলিল, কিন্তু সেই থেকে সুরু হলো আমার দুৰ্গতি।। ওঁকে ফেললুম হারিয়ে, তার পরের কথা BDB SYBDLD OO D YYD SBBB D DBB SLLLD DJS তারা কত কি-ই না ভাবে । তারপরে অনেকদিন কেঁদে কেঁদে হাতড়ে বেড়ালুম খুজে খুজে-তখন ঠাকুরের দয়া হলো-যেমন নিজে দিয়েও হঠাৎ একদিন কেড়ে নিয়েছিলেন, তেমনি অকস্মাৎ আর একদিন হাতে হাতে ফিরিয়ে দিয়ে গেলেন। -এই বলিয়া সে উদ্দেশে ভঁাহাকে প্ৰণাম করিল। কমললতা বলিল, সেই ঠাকুরের মালা-চন্দন বড়গোঁসাই দিয়েছেন পাঠিয়ে, আজ ফিরে যাবার দিনে তোমরা দুজনকে দুজনে পরিয়ে five রাজলক্ষ্মী হাতজোড় করিয়া বলিল, ওঁর ইচ্ছে উনি জানেন, কিন্তু আমাকে ও আদেশ ক’রো না । আমার ছেলেবেলায় সেই রাঙামালা আজও চোখ বুজলে ওঁর সেই কিশোর গলায় দুলচে দেখতে পাই। ঠাকুরের দেওয়া আমার সেই মালাই চিরদিন থাক দিদি। বলিলাম, কিন্তু সে-মালা ত খেয়ে ফেলেছিলাম । রাজলক্ষ্মী বলিল, হঁ। গো রাক্ষস-এইবার আমাকে সুদ্ধ খাও। এই বলিয়া সে হাসিয়া চন্দনের বাটিতে সব কয়টি আঙ্গুল ডুবাইয়া আমার কপালে ছাপ মারিয়া দিল । সকলে দ্বারিকান্দাসের ঘরে গেলাম দেখা করিতে । তিনি কি একটা গ্রন্থ পাঠে নিযুক্ত ছিলেন, আদর কািরয়া বলিলেন, এসো ভাই, বসে । রাজলক্ষ্মী মেজেতে বসিয়া বলিল, বসবার যে আর সময় নেই