পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৬৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

byr রাখিয়া দিয়া বলিল, তুমি বই পড়তে এতে ভালোবাসে, এখন থেকে তাই কেন করে না ? তাতে ত টাকা আসবে না ! কি হবে টাকায় ? টাকা ত আমাদের অনেক আছে। একটু থামিয়া বলিল, উপরের ঐ দক্ষিণের ঘরটা হবে তোমার পড়াব ঘর। আনন্দ-ঠাকুরপো আনবে বই কিনে, আর আমি সাজিয়ে তুলবো। আমার মনের মতো করে। ওর একপাশে থাকবে আমার শোবার-ঘর, অন্য পাশে হবে আমার ঠাকুর ঘর। এ জন্মে রইলো আমার ত্ৰিভুবন-এর বাইরে যেন না কখনো দৃষ্টি যায়। জিজ্ঞাসা করিলাম, তোমার রান্নাঘর ? আনন্দ সন্ন্যাসী মানুষ, ওখানে চোখ না দিলে যে তাকে একটা দিনও রাখা যাবে না ; কিন্তু তার সন্ধান পেলে কি ক’রে ? কবে আসবে সে ? রাজলক্ষ্মী বলিল, সন্ধান দিয়েছে কুশারীমশাই-আনন্দ আসবে বলচে। খুব শীঘ্ৰ। তারপরে সকলে মিলে যাবে গঙ্গামাটিতে-থাকবো। সেখানে কিছুদিন । বলিলাম, তা যেন গেলে, কিন্তু তাদের কাছে গিয়ে এবার তোমার লজা করবে না ? রাজলক্ষ্মী কুষ্ঠিত-হাস্তে মাথা নাড়িয়া বলিল, কিন্তু তারা তা কেউ জানে না। কাশীতে আমি নাক-চুল কেটে সং সেজেছিলুম ? চুল আমার অনেকটা বেড়েছে, আর নাক গেছে বেমালুম জুড়ে। দাগটুকু পৰ্য্যন্ত নেই-আর তুমি যে আছ সঙ্গে, আমার সব অন্যায় সব লজ মুছে দিতে। একটু থামিয়া বলিল, খবর পেয়েছি সেই হতভাগী মালতীটা এসেছে ফিরে, সঙ্গে এনেছে তার স্বামীকে। আমি তাকে দেব একটা হার গড়িয়ে । বলিলাম, তা, দিয়ে, কিন্তু আবার গিয়ে সুনন্দার পাল্লায়, পড়ে