পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত Sas রাজলক্ষ্মী আলমারি খুলিয়া তাহার হাতে টাকা দিল, ছেলেটি দ্রুতবেগে সিড়ি বাহিয়া নামিতে নামিতে হঠাৎ দাড়াইয়া বলিল, মা বলে দিলেন ছোটমামা পবশু সকালে এসে সমস্ত এষ্টিমেট ক’বে দেবেন।-বলিয়াই উদ্ধশ্বাসে প্ৰস্থান করিল। প্রশ্ন করিলাম, এষ্টিমেট কিসের ? বাড়ীটা মেরামত করতে হবে না ? তেতিলার ঘরটা আধখানা ক’রে তারা ফেলে রেখেচে, পুরো করতে হবে না ? তা হবে কিন্তু এত লোককে তুমি চিনলে কি ক’বে ? বাঃ, এরা যে সব পাশের বাড়ীব লোক ; কিন্তু আব না। যাইতোমার খাবার তৈরীর সময় হয়ে গেল।-এই বলিয়া সে উঠিয়া নীচে চলিয়া গেল। CNOGS এক সকালে স্বামীজি আনন্দ আসিয়া উপস্থিত। তাহাকে আসাব নিমন্ত্রণ করা হইয়াছে বতন জানিত না, বিষন্নমুখে আসিয়া আমাকে খবর দিল, বাবু, গঙ্গামাটির সেই সাধুটা এসে হাজিব হয়েছে। বলিহারী তাকে, খুজে খুজে বা’র করেছে তা ? রতন সর্বপ্রকার সাধু-সজ্জনকেই সন্দেহের চোখে দেখে, রাজলক্ষ্মীর গুরুদেবটিকে ত সে দুচক্ষে দেখিতে পারে না, বলিল, দেখুন, এ আবার মাকে কি মতলব দেয়। টাকা বা’র ক’রে নেবার কত ফন্দিই যে এই ধাৰ্ম্মিক ব্যাটারা জানে। হাসিয়া বলিলাম, আনন্দ বড়লোকের ছেলে, ডাক্তারি পাস করেছে, তার নিজের টাকার দরকার নেই। হু-বড়লোকের ছেলে। টাকা থাকলে নাকি কেউ আবার এ-পথে যায়। এই বলিয়া সে তাহার সুদৃঢ় অভিমত ব্যক্ত করিয়া,