পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত ܪܐ একটা কেবোসিনের ডিবা জ্বালাইয়া দিদি বসিয়া আছেন। তঁহার ক্ৰোড়ের উপর শাহজীর মাথ । তাহার পায়ের কাছে একটা প্ৰকাণ্ড গোখরো সাপ লম্বা হইয়া আছে। দিদি মৃত্নকণ্ঠে ঘটনাটা সংক্ষেপে বিবৃত করিলেন । আজি দুপুরবেলা কাহার বাটীতে সাপ ধরিবাব বায়না থাকে। সেখানে ঐ সাপটিকে ধবিয়া যাহা বাকসিস পায়, তাহাতে কোথা হইতে তাড়ি খাইয়া মাতাল হইয়া সন্ধ্যার প্রাক্কালে বাড়ী ফিরিয়া, দিদির পুনঃ পুনঃ নিষেধ সত্ত্বেও সাপ খেলাইতে উদ্যত হয় । খেলাইয়াও ছিল। “কিন্তু অবশেষে খেলা সাঙ্গ করিয়া তাহাব লেজ ধরিয়া হাঁড়িতে পুবিবার সময় মদের বেঁকে মুখের কাছে মুখ আনিয়া চুমকুড়ি দিয়া আদর কবিতে গেলে, সেও আদর কণিয়া শাহজীর গলার উপর তীব্ৰ চুম্বন দিদি র্তাহাব মলিন অঞ্চল প্ৰান্তে চোখ মুছিয়া আমাকে লক্ষ্য কবিয়া বলিলেন, শ্ৰীকান্ত, তখনই কিন্তু তার চৈতন্য হ’ল যে, সময় আর বেশি। নেই । বললেন, আয়, আমরা দু’জনে একসঙ্গেই যাই, ব’লে পা দিয়ে সাপটার মাথা চেপে দু’বে দুই হাত দিয়ে তাকে টেনে টেনে ঐ অত বড় ক’বে ফেলে দিলেন । তাব পরে দু’জনেবষ্ট খেলা সাঙ্গ হ’ল । বলিয়া তিনি হাত দিয়া অত্যন্ত সন্তৰ্পণে শাহ জীর মুখাবরণ উন্মোচন করিয়া, গভীর স্নেহে তাহার সুনীল ওষ্ঠ্যাধধে ওষ্ঠ স্পর্শ করিয়া বলিলেন, যাক, ভালই হ’ল ইন্দ্রনাথ । ভগবানকে আমি এতটুকু দোষ দিইনে { আমরা উভয়েই নিৰ্বাক হইয়া দাড়াইয়া রহিলাম। সে কণ্ঠস্বরে যে কি মমান্তিক বেদনা, কি প্রার্থনা, কি সুনিবিড় অভিমান প্ৰকাশ পাইল, তাহা যে শুনিয়াছে, তাহার সাধ্য নাই যে, জীবনে বিস্মৃত হয় । কিন্তু কিসের জন্স এই অভিমান ? প্রার্থনাই বা কাহার জন্য ? একটুখানি স্থির থাকিয়া বলিলেন, তোমরা ছেলেমানুষ, কিন্তু তোমরা দুটি ছাড়া ত আমার আর কেউ নেই ভাই , তাই এই ভিক্ষে করি, এর একটু তোমরা উপায় করে দিয়ে যাও আঙ্গুল দিয়া কুটীরের দক্ষিণদিকের জঙ্গলটা নির্দেশ করিয়া বলিলেন, ওইখানে একটু জায়গা আছে, ইন্দ্রনাথ, EBL DBDDD LDBBS DB DBDDB DDDLDD DDDS LiiiDBBB BBB BLL