পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

कांस्ड्स Saly রাজলক্ষ্মী হাসিয়া ফেলিল, বলিল, জ্বলে-পুড়ে শিখতে হয়েছে ভাই । তুমি কিন্তু আর দেরী ক’রো না, চা খেয়ে স্নান করে নাও, কাল গাড়ীতে তোমার যে খাওয়া হয় নি তা বেশ জানি। ওঁর মুখে আমার সুখ্যাতি শুনতে গেলে তোমার সমস্ত দিনে কুলোবে না।-- বলিয়া সে চলিয়া গেল। আনন্দ কহিল, আপনাদের মত এমন দুটি লোক সংসারে বিরল। ভগবান আশ্চৰ্য মিল ক’রে আপনাদের দুনিয়ায় পাঠিয়েছিলেন। তার নমুনা দেখলে তা ? নমুনা, সে প্ৰথম দিনে সঁইথিয়া স্টেশনে গাছতলাতেই দেখেছিলুম। তার পরে আর একটিও কখনো চোখে পড়লো না। আহা ! কথাগুলো যদি ঔর সামনেই বলতে আনন্দ । আনন্দ কাজের লোক, কাজের উদ্যম ও শক্তি তাহাব বিপুল। তাহাকে কাছে পাইয়া রাজলক্ষ্মীর আনন্দের সীমা নাই। দিনেরাতে খাওয়ার আয়োজন ত প্ৰায় ভয়ের কোঠায় গিয়া ঠেকিল। অবিশ্রাম দুজনের কত পরামর্শ-ই যে হয় তাহার সবগুলো জানি না, শুধু কানে আসিয়াছে যে গঙ্গামাটিতে একটা ছেলেদের ও একটা মেয়েদের ইস্কুল খোলা হবে। এখানে বিস্তর গরীব এবং ছোটজাতের লোকোব বাস, উপলক্ষ্য বোধ করি তাহারই। শুনিতেছি। একটা চিকিৎসার ব্যাপারও চলিবে । এই সকল বিষয়ে কোনোদিন আমার কিছুমাত্র পটুতা নাই। পরোপকারের বাসনা আছে কিন্তু শক্তি নাই, কোন-কিছু একটা খাড়া করিয়া তুলিতে হইবে ভাবিলেও আমার শ্ৰান্ত মন আজ নয় কাল করিয়া দিন পিছাইতে চায়। তাহাদের নূতন উদ্যোগে মাঝে মাঝে আনন্দ আমাকে টানিতে গিয়াছে, কিন্তু রাজলক্ষ্মী হাসিয়া বাধা দিয়া বলিয়াছে, ওঁকে আর জড়িও না আনন্দ, তোমার সমস্ত সঙ্কল্প পাণ্ড হয়ে যাবে। শুনিলে প্ৰতিবাদ করিতেই হয়, বলিলাম, এই যে সেদিন বললে