পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

1) şi আমার অনেক কাজ, এখন থেকে আমাকে অনেক কিছু করতে হবে । রাজলক্ষ্মী হাতজোড় করিয়া বলিল, আমার ঘাট হয়েছে গোঁসাই, অমন কথা আর কখনো মুখে আনবো না। তবে কি কোনোদিন কিছুই করবো না। কেন করবে না ? কেবল অসুখ-বিসুখ ক’রে আমাকে ভয়ে আধমরা ক’রে তুলে না, তাতেই তোমার কাছে আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবে । আনন্দ কহিল, দিদি, সত্যিই ওঁকে আপনি অকেজো ক’রে তুলবেন। রাজলক্ষ্মী বলিল, আমাকে করতে হবে না ভাই, যে বিধাতা ওঁকে সৃষ্টি করেছেন, তিনিই যে ব্যবস্থা ক’রে রেখেছেন-কোথাও काठेि ब्रांप्रश्न नि । আনন্দ হাসিতে লাগিল, রাজলক্ষ্মী বলিল, তার ওপর এক গোণিক্কার পোড়ারমুখে এমনি ভয় দেখিয়ে রেখুেঢ় যে উনি বাড়ীর বা’র হলে আমার বুক টিপ চিপ করে—যতক্ষণ না ফেরেন, কিছুতে মন দিতে পারি নে। এর মধ্যে আবার গোণাকার জুটলো কোথা থেকে ? কি বললে সে ? আমি ইহার উত্তর দিলাম, বলিলাম, আমার হাত দেখে সে বললে, আমার মস্ত কঁাড়া-জীবন-মরণের সমস্যা । দিদি, এসব আপনি বিশ্বাস করেন ? আমি বলিলাম, হঁহা করেন, আলবৎ করেন। তোমার দিদি। বলেন, ফঁাড়া বলে কি পৃথিবীতে কথা নেই ? কারও কখনো কি বিপদ ঘটে না ? আনন্দ হাসিয়া কহিল, ঘটতে পারে, কিন্তু হাত গুণে বলবে কি

sfo ?