পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

o শ্ৰীকান্ত আনন্দ আসিয়া বাহির হইতে বলে, একটা কথা জেনে নেবার আছে-আসতে পারি কি ? রাজলক্ষ্মী বলে, পারে । তোমার কোথায় আসতে মানা আনন্দ ? আনন্দ ঘরে ঢুকিয়া আশ্চৰ্য্য হইয়া বলে, এ অসময়ে দিদি কি ওঁকে ঘুম পাড়াচ্চেন নাকি ? রাজলক্ষ্মী হাসিয়া জবাব দেয়, তোমার লোকসানটা হলো কি ? না ঘুমোলেও তোমার পাঠশালার বাছুরের পাল চরাতে যাবেন না ! দিদি দেখচি ওঁকে মাটি করবেন। নইলে নিজে যে মাটি । নির্ভাবনায় কাজকৰ্ম্ম করতে পারি নে। আপনারা দুজনেই ক্রমশঃ ক্ষেপে যাবেন, এই বলিয়া আনন্দ বাহির হইয়া যায়। ইস্কুল তৈরীর কাজে আনন্দের নিশ্বাস ফেলিবার ফুরসৎ নাই, সম্পত্তি খারিদের হাঙ্গামায় রাজলক্ষ্মী গলদঘৰ্ম্ম, এমনি সময়ে কলিকাতার বাড়ী ঘুরিয়া বহু ডাকঘরের ছাপছোপ পিঠে লইয়া বহু বিলম্বে নবীনের সাংঘাতিক চিঠি আসিয়া পৌঁছিল-গহর মৃত্যুশয্যায়। শুধু আমারই পথ চাহিয়া আজও সে বঁাচিয়া আছে। খবরটা আমাকে যেন শূল দিয়া বিধিল।। ভগিনীর বাটি হইতে সে কবে ফিরিয়াছে জানি না। সে যে এতদূর পীড়িত তাহাও শুনি নাই--শুনিবার বিশেষ চেষ্টাও করি নাই-আজ আসিয়াছে একেবারে শেষ সংবাদ। দিন ছায়ের পূর্বের চিঠি, এখনো বঁচিয়া আছে কিনা তাই বা কে জানে ? তার করিয়া খবর পাবার ব্যবস্থা এদেশেও নাই, সে-দেশেও নাই। ও চিন্তা বৃথা । চিঠি পড়িয়া রাজলক্ষ্মী মাথায় হাত দিলা-তোমাকে যেতে হবে তা । 畿 1 Se