পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

TRÀ কান্ত পড়িল প্ৰাচীর সংলগ্ন সেই শুষ্ক-প্ৰায় জাম গাছটার মাথায়। ইহারই শাখা জড়াইয়া উঠিয়াছিল গহরের মাধবী ও মালতী লতার কুজ। সেদিন শুধু কুঁড়ি ধরিয়াছিল, ইহারই গুটিকয়েক আমাকে সে উপহার দিবার ইচ্ছা করিয়াছিল, কেবল কাঠপিপড়ার ভয়ে পারে নাই। আজ তাহাতে গুচ্ছে গুচ্ছে ফুল, কতক ঝরিয়াছে তলায়, কত বাতাসে DD DDDBB BDBBuHBS BBB DBBD DDDD DDBBD বাল্যবন্ধুর স্বহস্তের শেষ দান মনে করিয়া। নবীন বলিল, চলুন, আপনাকে পৌঁছে দিয়ে আসি। বলিলাম, নবীন, বাইরের ঘরটা একবার খুলে দাও না, if নবীন ঘর খুলিয়া দিল। আজও রহিয়াছে সেই বিছানাট তক্তপোষের একধারে গুটানো, একটি ছোট পেন্সিল, কয়েক টুকরা ছেড়া-কাগজ-এই ঘরে গহর সুর করিয়া শুনাইয়াছিল। তাহার স্বরচিত কবিতা-বন্দিনী সীতার দুঃখের কাহিনী। এই গৃহে কতবার আসিয়াছি, কতদিন খাইয়াছি, শুইয়াছি, উপদ্রব করিয়া গিয়াছি, সেদিন হাসিমুখে যাহারা আসিয়াছিল, আজ তাহদের কেহ জীবিত নাই। আজ সমস্ত আসা-যাওয়া শেষ করিয়া বাহির হইয়া আসিলাম । পথে নবীনের মুখে শুনিলাম। এমনি একটি ছোট নোটের পুটুলি তাহার ‘ ছেলেদের হাতেও গহর দিয়া গিয়াছে। অবশিষ্ট সম্পত্তি যাহা যাহা রহিল, পাইবে তাহার মামাতো ভাই-বোনেরা, এবং তাহার পিতার নিৰ্ম্মিত একটি মসজেদের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যে। আশ্রমে পৌঁছিয়া দেখিলাম মস্ত ভীড়। গুরুদেবের শিষ্য-শিন্যা অনেক সঙ্গে আসিয়াছে, বেশ জাকিয়া বসিয়াছে, এবং হাবভাবে তাহাদের শীঘ্ৰ বিদায় হওয়ার লক্ষণ প্ৰকাশ পায় না। বৈষ্ণব-সেবাদি। বিধিমতেই চলিতেছে অনুমান করিলাম । দ্বারিকান্দাস আমাকে দেখিয়া অভ্যর্থনা করিলেন। আমার