পাতা:শ্রীকান্ত - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীকান্ত 伊战 হইতেছিলেন। সেইখানি গায়ে দিয়া, তাহারই অবিশ্রাম নিন্দা করিতেকরিতে-পা মুছিতেও ঘূণা হয়, তাহা পুনঃ-পুনঃ শুনাইতে শুনাইতে, ইন্দ্রের খানি পরিধান কারিয়া তিনি সে-যাত্ৰা আত্মরক্ষা করিয়া বাটী গেলেন। যাই হোক তিনি যে দয়া করিয়া ব্যাস্ত্ৰ-কবলিত না হইয়া সশরীরে প্রত্যাবর্তন করিয়াছিলেন, র্তাহার এই অনুগ্রহের আনন্দেই আমরা পরিপূর্ণ হইয়া গিয়াছিলাম। এত উপদ্রব-অত্যাচার হাসিমুখে সহ্য করিয়া, আজ নৌকাচড়ার পরিসমাপ্তি করিয়া, এই দুৰ্জয় শীতের রাত্ৰে কেঁাচার খুটিমাত্র অবলম্বন কবিয়া, কঁাপিতে-কঁাপিতে বাটী ফিরিয়া গেলাম । 페 লিখিতে বসিয়া আমি অনেক সময়েই আশ্চৰ্য হইয়া ভাবি, এই সব এলোমেলো ঘটনা আমার মনেব মধ্যে এমন করিয়া পরিপাটিভাবে সাজাইয়া রাখিয়াছিল কে ? যেমন করিয়া বলি, তেমন করিয়া ত তাহাবা একটির পর একটি, শুঙ্খলিত হইয়া ঘটে নাই । আবার তাই কি সেই শিকলের BBDBD BDDDD DBBD DBDBBD S DD Y DDD SS S DBDBDB DDD BBu টের পাই, কিন্তু তবু ত শিকল ছিড়িয়া যায় না। কে তবে নূতন করিয়া এ-সব জোড়া দিয়া রাখে ? আরও একটা বিস্ময়েব বস্তু আছে। পণ্ডিতেরা বলেন, বড়দের চাপে ছোটর গুড়ান্টয়া যায়। কিন্তু তাই যদি হয়, তবে জীবনের প্রধান ও মুখ্য ঘটনাগুলিই ত কেবল মনে থাকিবার কথা । কিন্তু তাও ও দেখি না। ছেলেবেলার কথা-প্রসঙ্গে হঠাৎ একসময়ে দেখিতে পাই, স্মৃতির মন্দিরে অনেক তুচ্ছ ক্ষুদ্র ঘটনাও কেমন করিয়া না-জানি বেশ বড় হইয়া জাকিয়া বসিয়া গিয়াছে, এবং বড়রা ছোট হইয়া কবে কোথায় ঝরিয়া পড়িয়া গেছে। অতএব বলিবার সময়েও ঠিক তাহাঁই ঘটে। তুচ্ছ বড় হইয়া দেখা দেয়, বড় মনেও পড়ে না । অথচ কেন যে এমন হয়, সে কৈফিয়ৎ আমি পাঠককে দিতে পারিব না, শুধু যা ঘটে তাহা জানাইয়া দিলাম।