পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/১০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিগিজয়ীর শ্লোকবিচার । w ʻ?

    • -এ সকল শবদ অলঙ্কার ।

শাস্ত্ৰমতে শুদ্ধ হইতে বিষম অপাের ৷” তুমি বা দিয়াছ কোন অভিপ্ৰায় করি । বোল দেখি ?- চৈঃ ভাঃ ৷ ৬১ ৷৷ পণ্ডিত ! এ সকল শব্দ অলঙ্কার-শাস্ত্ৰমত শুদ্ধ নহে । তবে আপনি কি অভিপ্ৰায়ে প্রয়োগ করিয়াছেন তাহা প্ৰকাশ করিয়া বলুন ?” দিগ্বিজয়ী প্রভুর বিচার-নৈপুণ্যে এরূপ বিস্ময়াবিষ্ট হইয়াছেন যে, আর তঁহার মুখে বাক্য নিঃসৃত হইতেছে না। ক্ষণকাল মধ্যে র্তাহার সে অসামান্য প্ৰতিভা স্তম্ভিত হইয়া গেল । তিনি অপ্ৰকৃতিস্থের ন্যায় অসংলগ্ন বাক্য প্রকাশ করিতে লাগিলেন। তখন প্ৰভু বলিলেন,- “-এ থাকুক পঢ় কিছু আর ৷ চৈঃ ভাঃ'৷ ৬২ ৷৷ হায়! হায়! দিগ্বিজয়ীর পূর্ববৎ কবিত্বশক্তি আর স্ফৰ্ত্তি পাইল না। জ্যোতিৰ্ম্ময় সুৰ্য্যের নিকট জ্যোতিরিঙ্গের ক্ষীণ-জ্যোতি যেন মুহুর্তের মধ্যে নিম্প্রভ হইয়া গেল। দিগ্বিজয়ী বিস্ময়বিহবল বাক্যে কহিলেন,-“নিমাই পণ্ডিত ! তুমি অলঙ্কার পড় নাই এবং তাদৃশ শাস্ত্রাভ্যাসও নাই, কেমন করিয়া এরূপ অর্থ প্ৰকাশ করিলে ?” শ্ৰীগৌরাঙ্গ দিগ্বিজয়ীর মনের ভাব অবগত হইয়া কহিলেন “শাস্ত্রের বিচার ভাল মনদ নাহি জানি । সরস্বতী যে বলায় কহি সেই বাণী ৷ চৈঃ চিঃ ॥ ৬৩ ৷৷ শ্ৰীগৌরসুন্দরের এই ভঙ্গীময় বাক্যে দিগ্বিজয়ী নিশ্চয় করিলেন, সরস্বতী দেবীই কোন অপরাধ বশতঃ আমাকে এই বালকের দ্বারা অপদস্থ করিলেন । দিগ্বিজয়ীর অবস্থা দেখিয়া প্রভুর শিষ্যগণ হাসিতে লাগিলেন। শ্ৰীগৌরসুন্দর তাহাদিগকে নিবারণ করিয়া সাতিশয় সাদর সম্ভাষণ সহকারে বিবিধ প্ৰশংসা বাক্য দ্বারা দিগ্বিজয়ীকে সস্তুষ্ট করিতে লাগিলেন “তুমি মহাপণ্ডিত হও কবি শিরোমণি । সঁার মুখে বাহিরায় এ হেন কাব্যবাণী ৷ তোমার কবিত্ব তৈছে গঙ্গাজল ধার। তোমা সম কবি কোথা নাহি দেখি আর }