পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/১০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দিগ্বিজয়ীকে তত্ত্বোপদেশ। କତର “শুনি বিপ্ৰবর ! তুমি মহাভাগ্যবান। সরস্বতী যাহার জিহবায় অধিষ্ঠান ৷ দিগ্বিজয় করিব বিদ্যার কাৰ্য্য নহে । लेन्थgद्ध डजिल cन विछांश जtड काश् ॥ মন দিয়া বুঝ, দেহ ছাড়িয়া চলিলে। ধন বা পৌরুষ সঙ্গে কেহ নাহি চলে ৷ এতেকে মহান্ত সব সর্বব পরিহরি । করেন ঈশ্বরসেবা দৃঢ় চিন্তা করি ॥ – এতেকে ছাড়িয়া-বিপ্ৰ সকল জঞ্জাল । शैकूश्3-5झ* नििश ऊऊङ् ञकांव् ॥ যাবত মরণ নাহি উপসন্ন হয় । তাবিত সেবহু কৃষ্ণ করিয়া নিশ্চয় ॥ সেই সে বিদ্যার ফল জানিহ নিশ্চয় । কৃষ্ণ-পাদপদ্মে যদি চিত্তবৃত্তি হয় ৷ মহা উপদেশ এই কহিল তোমারে । সবে বিষ্ণুভক্তি সত্য অনন্ত সংসারে ৷ চৈঃ ভাঃ ॥ ৬৭ ৷৷ ওহে বিপ্ৰ ! তোমার জিহবায় যখন সরস্বতী অধিষ্ঠিত আছেন, তখন তুমি মহা ভাগ্যবান। দিগ্বিজয় করা এ বিদ্যার কার্য্য নহে। “সা বিদ্যা তন্মতিৰ্যায়া” শ্ৰীভগবানের ভজনই শ্রেষ্ঠতম বিদ্যা, লোকে এই বিদ্যারই প্ৰশংসা করিয়া থাকে। মনে বুবিয়া দেখ, যখন প্ৰাণপাখী দেহ-পিঞ্জর ছাড়িয়া উড়িয়া যায়, তখন ধন বা পৌরুষ কিছুই তাহার সঙ্গে যায় না ; কেবল শ্ৰীভগবৎ ভজনই সঙ্গে যায়। এই জন্যই সাধুগণ এই সকল তুচ্ছ বিষয় পরিত্যাগ করিয়া একান্তচিত্তে শ্ৰীভগবানের ভজনা করেন। অতএব হে বিপ্ৰ ! এখন হইতে এই সকল জঞ্জাল ত্যাগ করিয়া শ্ৰীকৃষ্ণ-চরণ-পদ্ম আশ্ৰয় কর এবং যে পৰ্য্যন্ত মৃত্যু উপসন্ন না হয়, সেই শেষ মুহূৰ্ত্ত পৰ্য্যন্ত অবিচলিত চিত্তে শ্ৰীকৃষ্ণের পাদপদ্ম সেবা কর । শ্ৰীকৃষ্ণ-পাদপদ্মে চিত্তবৃত্তির গাঢ় সন্নিবিষ্টতাই সে বিদ্যার ফল বলিয়া জানিবে। এই অনন্ত সংসারে একমাত্র কৃষ্ণভক্তিই সত্য, আমি তোমাকে এই মহাউপদেশ কহিলাম।