পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/১১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ και κ শ্ৰীগৌর উপদেশামৃত দুঃখিতে দেখিলে প্ৰভু বড় দয়া করি। অন্ন বস্ত্ৰ কপর্দক দেন গৌরহরি ॥ এতদ্ব্যতীত প্ৰভুর আলিয়ে প্রতিদিনই বাৰ্ছতর অতিথি-সেবা হয়। দয়াল প্ৰভু সকলকেই যথাযোগ্য ভিক্ষাদানে পরিতুষ্ট করেন। এইরূপ অতিথিসৎকার দ্বারা “গৃহস্থেরে মহাপ্ৰভু শিখায়েন ধৰ্ম্ম । অতিথির সেৰা গৃহস্থের মূল কৰ্ম্ম ৷ গৃহস্থ হইয়া যদি অতিথি না করে। পশুপক্ষী হইতেও অধম বলি তারে ৷ যার যা না থাকে কিছু পূৰ্বাদৃষ্টদোষে।। সেই তৃণ জল ভূমি দিবেক সন্তোষে ॥ সত্য বাক্য কহিবেক করি পরিহার । তথাপি অতিথি-শূন্য না হয় তাহার। অকৈতবে চিত্ত সুখে যারা যেন শক্তি । তাহা করিলেই বলি অতিথির ভক্তি ॥” চৈঃ ভাঃ ৷ ৬৯ ৷৷ আৰ্য্য-ঋষিগণ গৃহস্থের পক্ষে পঞ্চ মহাযজ্ঞের বিধান করিয়াছেন। অধ্যয়ন অধ্যাপনের নাম ব্ৰহ্মযজ্ঞ, অন্নাদি উদক দ্বারা পিতৃলোকের তর্পণ করার নাম পিতৃ যজ্ঞ, হোমের নাম দেবযজ্ঞ এবং অতিথি-সেবার নাম মনুষ্য-যজ্ঞ । “নুষজ্ঞোহতিথি পূজনম্।” গৃহস্থ মাত্রেই সক্ষম হইলে উক্ত পঞ্চযজ্ঞের অনুষ্ঠান নিত্য কৰ্ত্তব্য। নতুবা তাহার জীবন বৃথা । যথা দেবতা।তিথি ভূত্যানাং পিতৃণামাত্মনশ্চ যঃ । ন নির্বাপতি পঞ্চানা মুচ্ছােসন ন স জীবতি৷ দেবতা, অতিথি, পোষ্যবৰ্গ, পিতৃগণ ও আত্মাকে যে ব্যক্তি উক্ত পঞ্চযজ্ঞ দ্বারা অন্নাদি না দেয়, সে নিশ্বাস-প্ৰশ্বাসবিশিষ্ট জীব হইলেও জীবিত নহে অর্থাৎ জীবন্মত। মহাভারত অশ্বমেধিক পর্বে গৃহস্থ ধৰ্ম্মলক্ষণে উক্ত আছে যে,- দেবতা।তিথি শিষ্টাশী নিরতো বেদকৰ্ম্মসু । ইংল্যা প্ৰদানযুক্তশ্চ যথাশক্তি যথাবিধি |