তপন মিশ্রেীর প্রতি উপদেশ । 06 অবগত হইতে পরিবেন । শ্ৰীভগবানই জীবোদ্ধারের জন্য শ্ৰীনিমাই পণ্ডিতরূপে অবতীর্ণ হইয়াছেন। তপন মিশ্র এই স্বপ্নাদেশ শিরোধাৰ্য্য করিয়া দীনভাবে শ্ৰীপ্রভুর শ্ৰীচরণে আসিয়া শরণাপন্ন হইলেন। কহিলেন, “প্ৰভু ! আমি সাধ্য সাধন কিছুই জানি না, আমি কি উপায়ে উদ্ধার হইব, কৃপা পুৰ্ব্বক DDDB OBBDD MBD DBDD SS কৃপা-কিরিণামৃতবৰ্ষী শ্ৰীগৌরশশী তাহাকে আশ্বাসিত করিয়া কহিলেন--
- -বিপ্ৰ ! তোমার ভাগ্যের কি কথা । কৃষ্ণ ভজিবারে যাহি সেই সে সর্বপা ৷ ঈশ্বর-ভজন অতি দুৰ্গম অপার । যুগধৰ্ম্ম স্থাপিয়াছে করি পরিচার ॥ চারি যুগে চারি ধৰ্ম্ম রাখি ক্ষিতিতলে । স্বধৰ্ম্ম স্থাপিয়া প্ৰভু নিজ স্থানে চলে৷ চৈঃ ভাঃ ৷ ৭১ ৷৷
“বহুজন্মাজ্জিত পুণ্যপুঞ্জের ফলেই জীব কৃষ্ণভজন করিতে প্ৰবৃত্ত হয়। অতএব হে বিপ্ৰ ! তোমার ভাগ্যের কথা আর কি কহিব ? কারণ, তুমি একান্তভাবে শ্ৰীকৃষ্ণ-ভজন করিতে অভিলাষ করিয়াছ । শ্ৰীকৃষ্ণ-ভজন অতি কঠিন। পরম কারুণিক শ্ৰীভগবান যুগে যুগে অবতীর্ণ হইয়া এক একটী যুগপৰ্ম্ম প্রচার করিয়া জীবোদ্ধারের পথ সুগম করিয়া দিয়াছেন। অধৰ্ম্মের প্ৰাবল্যে ও অভিক্তের অত্যাচারে যখন ভক্তগণ অতিমাত্ৰ কাতর হইয়া উঠেন, তখন ভক্তবৎসল শ্ৰীভগবান অবতীর্ণ হইয়া দুস্কৃতের বিনাশ, ভক্তের রক্ষ এবং দেশ-কাল-পাত্রোপযোগী এক মনোমিদ ধৰ্ম্ম সংস্থাপন করিয়া থাকেন। যথা পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশয়চ দুষ্কতাম্। ধৰ্ম্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে ৷ শ্ৰীগীত । এইরূপে শ্ৰীভগবান চারি যুগে চারিটি ধৰ্ম্ম স্থাপন করিয়া দুঃখদুরিতগ্ৰস্থ জীবের উদ্ধার সাধন করিয়াছেন । যথা কৃতে যদুধ্যায়তো বিষ্ণুং ত্রেতায়াং যাজতোমখৈঃ। দ্বাপরে “পরিচর্য্যায়াং কলৌ তদ্ধরিকীৰ্ত্তনাৎ ॥ সত্যযুগে মানসিক শক্তির প্রাবল্য-হেতু শ্ৰীভগবানের ধ্যানই উপাসনা ছিল, ত্রেতাযুগে কায়িক শক্তির বিশূেন্য প্ৰাবল্যে যজ্ঞই পরিত্রাণের উপায় 8
