পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ভূমিকা । ভুবন-পাবনাবতার শ্ৰীগৌরাঙ্গের মঙ্গল মধুর লীলারস-সম্বলিত শ্ৰীগ্রন্থ সমূহের মধ্যে “ঐচৈতন্যভাগবত ও চৈতন্যচরিতামৃত” এই দুই ত্রগ্রন্থ শ্ৰীমদ গৌড়ীয় বৈষ্ণব-সম্প্রদায়ে বেদবৎ নিত্য পুজিত, ও সমাদৃত। এই দুই শ্ৰীগৌরলীলার মহোদধির মধ্যে শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর শ্ৰীমুখোক্ত উপদেশ-রত্ন কোথায় কি ভাবে নিহিত আছে, তাহা উপলব্ধি করিতে অনেক সময়ে নানা অসুবিধা ভোগ করিতে হয়। এজন্য উক্ত দুই শ্ৰীগ্ৰন্থ হইতে শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর শ্ৰীমুখোক্তিগুলি যথাসাধ্য বিচার বিশ্লেষণ সহ একত্র সঙ্কলিত করিবার প্রয়োজনীয়তা বিবেচনা করিয়া, নিতান্ত অযোগ্য হইয়াও কেবল আত্মশোধন প্ৰয়াসে এই শ্ৰীগ্ৰন্থখানি সঙ্কলিত করিলাম। বিশেষতঃ দয়াল শ্ৰীগৌরাঙ্গ জীবশিক্ষার নিমিত্ত যে উপদেশ প্ৰদান করিয়াছেন, তাহা গৌড়ীয় বৈষ্ণবসমাজে বেদবিধি অপেক্ষাও অধিক মাননীয় ও নিত্য প্ৰতিপাল্য । ভক্তগণ যাহাতে এই উপদেশ-রত্নগুলি একাধারে সহজে লাভ করিতে পারেন, এই গ্ৰন্থ প্ৰকাশের উহাও অন্যতম উদ্দেশ্য । শ্ৰীমন্মহাপ্রভুর আদিলীলায় যে সমস্ত উপদেশ নিহিত আছে, এই প্রথমখণ্ডে তাহাই সঙ্কলিত হইয়াছে। কেবল তত্ত্ব-কথা পাঠ অনেক সময়ে নীরসবোধ হইয়া থাকে ; তজ্জন্য তত্ত্বাংশের সহিত তৎসংশ্লিষ্ট লীলারসের সমাবেশ করিয়া তত্ত্বাংশগুলিকে অপেক্ষাকৃত সুখপাঠ্য ও মধুর করিবার চেষ্টা করিয়াছি। কৃতকাৰ্য্য হইয়াছি কি না, সে বিচারের আবশ্যক করে না । “শ্ৰীভগবানের লীলারস নিষেবণ ব্যতীত দুরিত দুৰ্দশাগ্ৰস্ত জীবের ভাবসমুদ্রপারের অন্য প্লব নাই।” এই ভরসায় আমি অধম এই লীলারসরসিত “শ্ৰীগৌরউপদেশামৃত” সংগ্রহে প্ৰবৃত্ত হইয়াছি। উপদেশ ও উক্তিগুলি সাধারণের সুবোধগম্য করিবার উদ্দেশ্যে বিশদভাবে বিচার-বিশ্লেষণের চেষ্টা করা হইয়াছে। যদিও বৈষ্ণবসিদ্ধান্তের বিশুদ্ধি রক্ষার নিমিত্ত সর্বত্ৰ মহাজনগণের পদাঙ্ক অনুসরণ করা হইয়াছে, তথাপি মাদৃশ ক্ষুদ্রমতি অল্পক্তের পদে পদে ভ্ৰমপ্ৰমাদ ও ক্রটা ঘটবার সম্ভাবনা । আশা করি, বিজ্ঞ পাঠকবর্গ তজ্জন্য অপরাধ গ্ৰহণ