পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/৫৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীচৈতন্য লীলা । 8& ষষ্ঠ লহরী “গভীর চৈতন্যলীলা কে বুঝিতে পারে।” নদীয়া-কেশরী শ্ৰীগৌরাঙ্গের মধুর প্রেমের লীলা সমুদ্রাধিক গভীর। প্রভুর মায়াশক্তিতে মোহিত হইয়া তদীয় সেবকগণই যখন সেই বিশ্ব-বিস্ময়জনক লীলা মাহাত্ম্য বুঝিতে পারেন না, তখন আমরা-কৰ্ম্মজড় মায়াসক্ত জীব উহার কণিকামাত্ৰও বুঝিবার আমাদের শক্তি আছে কি ?-আমাদের পাষাণ-কঠিন হৃদয়ে সে নূতন প্রেমের নূতন ছবি সহজে অনুবিম্বিত হয় কি ? DBDD BDD tD DDBBDS DBBB DD LEBD BBDBDBD DBD BDDDD DDS বুঝিতাম না-সরল প্ৰফুল্লচিত্তে বিচরণ করিতাম ; তখন অন্যের দুঃখ দেখিলে নয়নে অশ্রুপ্রবাহ উথলিয়া উঠিত-অসৎ কাৰ্য্যে হৃদয় আতঙ্কে কঁাপিত। কিন্তু হায় ! বয়োরদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে একি ঘোর পরিবর্তন !— বাল্যের সে কুসুম-কোমল হৃদয় ষে বঞ্জাদপি কঠিন হহয়া উঠিল - সরলতার শুভ্ৰাসনে কুটিলতা বিরাজ করিল। দুঃখ-শোক-নৈরাশ্যে হৃদয় ভরিয়া গেল । শত শত পাপ-প্ৰবৃত্তির প্রবল স্রোতে ভাসিতে ভাসিতে কোথায় কোন নরকাৰ্ণিবের দিকে উধাও ছুটিতেছি । অহো! মোহান্ধ আমরা, প্রেমের কাঙ্গাল প্রেমাবতার শ্ৰীমহাপ্রভুর মহিমা বুঝিতে পারি কি ? --দিশেহারা অন্ধজীব তাহাকে কেমন করিয়া চিনিবে ?-ক্ষুদ্রাদাম কাঁটাগুকিীট জীব কিরূপে সে অনন্ত স্বরূপকে হৃদয়ে অনুভব করিয়া স্ব স্ব দুৰ্গতির অবসান করিবে । তাই, দয়াল প্ৰভু জীবের এই দারুণ দুঃখে আত্মহারা হইয়া আচণ্ডাল সমুদায়ের ঘরে ঘরে ভুবনমঙ্গল শ্ৰীহরি নামের শুভবার্তা ঘোষণা করিলেন। কৰ্ম্মলস জীব প্ৰেমভক্তির সেই মধুর হিল্লোলে নবজীবন লাভ করিয়া অপূৰ্ব্ব পুলকানন্দে নাচিয়া উঠিল। অমনি লক্ষ লক্ষ জীব আপন আপন হৃদয়ে তঁহাকে -সেই প্রেমের ঠাকুরকে প্রেমের পুর্ণাবতাররূপে অধিষ্ঠিত করিয়া প্ৰেমভক্তির পুষ্প-চন্দনোপহারে পূজা করিতে শিখিল! কিন্তু হায় । আজকাল তঁহার সম্বন্ধে এত তর্ক, এত সন্দেহ কেন? — জীবের এ অধঃপাতের মূল কোথায় ? কাল-মাহন্ত্র্যে জীবের ধৰ্ম্মভাব শস্যতাই ইহার ዓ