পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীগৌর উপদেশামৃত “-জানিলাঙ যে লাগি পলায় । বহিন্মুখ সম্ভাষা করিতে না জুয়ায় ৷ এ বেটা পড়য়ে যত বৈষ্ণবের শাস্ত্ৰ । পাঁজি বৃত্তি টীকা আমি বাখানিয়ে মাত্ৰ ৷ আমার সম্ভাষে নাহি কৃষ্ণের কথন । অতএব আমি দেখি করে পলায়ন ॥১৩৷৷ শ্ৰীচৈঃ ভাঃ।। কৃষ্ণ ভক্তিরসে যাহাঁদের প্রাণমান সদাবিভাবিত, কৃষ্ণকথা প্ৰসঙ্গ ব্যতীত তঁহাদের অন্য মিথ্যা বাক্যব্যয় ভাল লাগে কি ? তাই,শ্ৰীবাস মুকুন্দাদি ভক্তগণ প্রভুর ফাঁকি জিজ্ঞাসার ভয়ে প্রভুকে বহিমুখ ভাবিয়া দুরে দূরে থাকেন। এ লীলা বিচিত্র বটে। যিনি কৃষ্ণ-প্ৰেমরসে ভুবন ভাসাইবার জন্য অবতীর্ণ, তিনি কিনা আপনাকে বহির্মুখ পরিচয় দিতেছেন ? বোধ হয়। ভক্তের নিকট আত্মসংগোপনের নিমিত্তই এরূপ বহিস্মৃখিতার পরিচয় । বহির্মুখ সংলাপ যে বৈষ্ণবগণের একান্ত অকৰ্ত্তব্য তাহ-“বাহিন্মুখ সম্ভাষ করিতে না জুয়ায়।” বাক্যে স্পষ্ট পরিব্যক্ত হইয়াছে। আমরা অবতারবাদী, প্রভুর শ্ৰীমুখের কৃপাজ্ঞাই আমাদের নিকট বেদবিধি অপেক্ষা অধিক বলবতী ও প্ৰাণতুল্য রক্ষণীয়া। আবার শাস্ত্রেও বহিন্মুখ সম্ভাষের বহুল দোষ কীৰ্ত্তিত আছে। অতএব কৃষ্ণভক্তিবিমুখগণের সঙ্গ-সম্ভাষণ অবশ্য পরিত্যাজ্য। যেহেতু - 常 অসক্তি সহ সঙ্গস্তু ন কৰ্ত্তব্য কদাচন। ঘৰ্ম্মাৎ সর্বাৰ্থ হানিঃ সুস্যাদি ধঃপাতশ্চজায়াতে ৷ ভক্তশূৱ প্ৰহলাদ বলিয়াছেন- “কৃষ্ণভক্তি-বিহীন অসাধু ব্যক্তিগণের সঙ্গ কদাচ করিবেন । তাহাতে ঐহিক পারলৌকিক সৰ্ব্বাৰ্থ সাধনের যে কেবল হানি হয়, তাহা নহে, নরকাদি ভোগও ঘটিয়া থাকে। অধিকন্তু সত্যং শৌচং দয়া মৌনং বুদ্ধি খ্রীঃ শ্ৰীৰ্যশঃ ক্ষমা ৷ শমোদমোভাগশোচতি যৎসঙ্গাৎ যাতি সংক্ষয়ম ৷ শ্ৰীভাঃ । উহা দ্বারা সত্য, শৌচ, দয়া, মৌন, বুদ্ধি, লজ্জা, শ্ৰী, যশঃ ক্ষমা, শম, (অস্তঃকরণ উপর তি), দম, ( বাহেন্দ্ৰিয় সংযম) ও ভাগ্য ইত্যাদি সমস্তই १r del3 श् । छठ५