পাতা:শ্রীগৌর-উপদেশামৃত (প্রথম খণ্ড) -মধুসূদন দাস অধিকারী.pdf/৭০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীগৌর উপদেশামৃত। ܐ লাভের চেষ্টা পৰ্য্যন্ত করিতেছি না। কিন্তু পতিতপাবন শ্ৰীগৌরাঙ্গ যেমন দয়াল-তেমনই দাতা শিরোমণি । ষে দুল্লভ রিসের কণামাত্ৰ পাইলেও শিব বিরিঞ্চি মহাসৌভাগ্য জ্ঞান করেন, দয়াল প্ৰভু, সেই কৃষ্ণপ্ৰেম-রাসের সদাব্রতদানভাণ্ডার জগজনের জন্য সদা উন্মুক্ত রাখিয়াছেন। অতএব আইস, যে যেখানে আছ, অসঙ্কোচে আইস, বাধা নাই-বিচার নাই, যত পার এ অমৃতরস আস্বাদন করা-ভাবব্যাধি দূরতে হইবেই-পিপাসারও শান্তি হইবেহৃদয় অনিৰ্ব্বচনীয় ভূমানন্দে ভরিয়া যাইবে। শ্ৰীভগবান ভক্তেয় মনোবাসনা পূৰ্ণ করিবার জন্যই ভক্তের হৃদয়হারী আকুল আহবানে আকৃষ্ট হইয়া অবতার গ্ৰহণ করেন। অবশ্য এ অবতার BBLLLLSSSTDDBDBB BBB SBBD DD DBBOY gBD KBt DDDD DDD ভক্তের প্রতি অজস্র করুণাধারা বর্ষণের জন্যই যেন তঁহার প্রকট আবির্ভাব । ভক্ত, ভগবানের প্রাণস্বরূপ । এমন কি তিনি প্রেয়সী অপেক্ষাও ভক্তকে অধিক প্ৰিয়তম জ্ঞান করেন । “সাধবো হৃদয়ং মহং সাধূনাং হৃদয়ত্বহং ।” ইত্যাদি শ্লোকে শ্ৰীভগবান উহা স্পষ্ট ঘোষণা করিয়াছেন। এ জন্য শ্ৰীভগবান ভক্তের জয় সৰ্বকালই বৰ্দ্ধিত করিয়া থাকেন। শ্ৰীভগবানের সকল অবতারেই এরূপ ভক্ত-পক্ষপাতিতার পরিচয় পাওয়া যায়। শ্ৰীগৌরাঙ্গাবতারে স্বয়ং ভক্তভাব অঙ্গীকার করিয়া ভক্তের মহিমা গৌরব আরও বৰ্দ্ধিত করিয়াছেন। অখণ্ড মুৰ্ত্তানন্দ শ্ৰীশচীনন্দন শিষ্যগণ সঙ্গে বিদ্যাবিলাস রঙ্গে নিমগ্ন । এই সময়ে একদিন শ্ৰীপাদমাধবেন্দ্ৰ পুরীর শিষ্য শ্ৰীপাদ ঈশ্বরপুরী সমুদ্র-গভীর প্রেমের হৃদয় লইয়া সন্ন্যাসীবেশে শ্ৰীনবদ্বীপধামে আসিয়া উপস্থিত হইলেন। বহুদিন পর একটি প্ৰেমে-ঢলঢল বৈষ্ণব সন্ন্যাসীকে পাইয়া শ্ৰীনবদ্বীপের শ্ৰীঅদ্বৈত প্ৰমুখ বৈষ্ণব সম্প্রদায়ে আনন্দের উদ্দাম উৎস উৎসারিত হইল। শ্ৰীপাদ পুরী গোপীনাথ আচাৰ্য্যের বাড়ীতে কয়েকমাস রহিলেন। তঁহার সহিত প্রভুর পরিচয় হইয়াছে, প্ৰভু তঁহাকে নিত্য দেখিতে যান। শ্ৰীপাদপুরী কৃষ্ণপ্ৰেমানন্দে সর্বদা বিহবল ৷ তিনি স্বরচিত “শ্ৰীকৃষ্ণলীলামৃত” নামক একখানি শ্ৰী রাধাকৃষ্ণ লীলাবিষয়ক কাব্যগ্ৰন্থ প্রত্যহ পাঠ করিয়া শ্ৰীগৌরাঙ্গ ও গদাধরকে শ্ৰবণ করান । শ্ৰীঈশ্বরপুরী প্রভুকে প্ৰাণের ঠাকুর বলিয়া জানেন মা, “নিমাই পণ্ডিত” বলিয়া জানেন, অথচ প্রভুকে দেখিলে তাহার প্রাণমন উল্লাসে পুলকিত হয়। শ্ৰীপাদপুরী একদিন গ্রন্থ পাঠ করিতে করিতে হাসিয়। বলিলেন “নিমাই ! তুমি পরম পণ্ডিত, আমি এই শ্ৰীকৃষ্ণ লীলাবিষয়ক