পাতা:শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত (আদিলীলা) - কৃষ্ণদাস কবিরাজ গোস্বামী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১০ শ্রী চৈতন্যচরিতামৃত। [ অদি। ১ পরিচ্ছেদ। শন। অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ॥ ২ ॥ সে মঙ্গলাচরণ হয় ত্রিবিধ প্রকার। বস্তুনির্দ্দেশ আশীর্ব্বাদ নমস্কার ॥ আদি দুই শ্লোক ইষ্টদেবে নমস্কার। সামান্য বিশেষরূপে দুই ত প্রকার ॥ ৩ ॥ তৃতীয় শ্লোকে ত করি বস্তুর নির্দ্দেশ। যাহা হইতে জানি পরতত্ত্বের উদ্দেশ ॥ ৪ ॥ চতুর্থ শ্লোকে ত করি জগতে আশীর্ব্বাদ। সর্ব্বত্র মাগিয়ে কৃষ্ণচৈতন্য প্রসাদ ॥ সেই শ্লোকে কহি বাহ্যাবতারে কারণ ॥ ৫ ॥ পঞ্চ ষষ্ঠ শ্লোকে কহি মূল রূপ মঙ্গলাচরণ করিতেছি, যেহেতু এই তিনকে স্মরণ করিলে বিঘ্ন- সকলের বিনাশ এবং অনায়াসে স্বীয় বাঞ্ছা পরিপূর্ণ হয় ॥ ২॥ উক্ত মঙ্গলাচরণ তিন প্রকার। যথা—তত্ত্বনিরূপণ, অশীর্ব্বাদ ও নমস্কার। তন্মধ্যে “বন্দে গুরূনীশভক্তান” এবং “বন্দে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য” এই দুই শ্লোকে ইষ্টদেবকে সামান্য ও বিশেষরূপে * দুই প্রকার নম- স্কার করা হইয়াছে ॥ ৩ ॥ “যদদ্বৈতং ব্রহ্ম” এই তৃতীয় শ্লোকে তত্ত্বের নিরূপণ করা হইয়াছে, ঐ শ্লোকের অর্থ হইতে পরতত্ত্বের অর্থাৎ সর্ব্বারাধ্য বস্তুর নিশ্চয় হইবে ॥ ৪ ॥ “অনর্পিতচরীং” এই চতুর্থ শ্লোকে সকল ব্যক্তির প্রতি শ্রীকৃষ্ণ- চৈতন্য প্রভুর অনুগ্রহ হউক, এই আকাঙ্ক্ষা করিয়া জগতে অশীর্ব্বাদ করা হইয়াছে এবং ঐ শ্লোকেই সামান্যাকারে শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর অবতারের কারণ অর্থাৎ তিনি যে কি জন্য অবতার হইলেন, তাহার স্থূল বিবরণ কহিয়াছি ॥ ৫।

  • যৎ প্রতিযোগিবিষয়মভিব্যাপ্যাপরবিষয়মভিব্যাপ্নোতি তৎ সামান্যং।

যঃ স্ববিষয়মভিব্যাপ্য তদিতরং ন ব্যাপ্নোতি স বিশেষঃ॥ অস্যার্থঃ। যিনি প্রতিযোগী অর্থাৎ স্ববিষয়কে অধিকার করিয়া অপর বিষয়কে অধি- কার করে, তাহার নাম সামান্য। আর যে আপন বিষয়কে ব্যাপে, অন্য বিষয়কে অধি- কার করে না, তাহার নাম বিশেষ ॥