পাতা:শ্রীমদভগবদগীতা - দেবেদ্রবিজয় বসু.pdf/২১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায়। (oዓ অংশ কলা বা পাদ চরাচর জগৎ ; কারণ কুটস্থ অব্যক্ত অক্ষর, পরম অব্যয় ব্ৰহ্মরূপে ব্যাপ্ত হইয়া সৃষ্টিতে পুরুষোত্তম বীজপ্ৰদ পিতা ও ঈশ্বরীরূপে প্ৰকাশিত। তঁহার দুইরূপ প্ৰকৃতি,—এক দৈবী, পরা বা জীবপ্রকৃতি, কাহা হইতে ভূত বা ভোক্ত ক্ষর পুরুষ, ক্ষেত্ৰজ্ঞ জীব রূপে উদ্ভূত। আর এক অপরা বা ত্ৰিগুণাত্মিক, জড় জ্ঞেয় প্রকৃতি, যাহা হইতে জগদযোনি মঙ্গান বা চৈতন্য পরিণাম পৰ্য্যন্ত ক্ষেত্র উদ্ভূত - ইয়া ও বিকৃত হইয়া এই জগৎরুপে প্ৰকাশিত হইয়াছে। প্ৰতিক্ষেত্রে বা দেহে, ভগবানই প্ৰকৃত ক্ষেত্ৰজ্ঞ, তাহা ঈশ্বরের সনাতন জীবভুত অধ্যাত্মভাব (গীত ১৫৭ ), তাহা জ্ঞাতা-রূপে জগৎ ধারণ করে (৭৫), আবার মহালয় কালে ঈশ্বরে লীন হয় ৮১৯) । অথচ এই পুৰুষ-প্রকৃতিরূপ ঈশ্বরের ভাব অনাদি (১৩১৯) । ইহা কেবল সৃষ্টিকালেই নিত্য ও প্ৰকট অবস্থায় থাকে ( ৯৷৮) । এই তত্ত্ব বুঝিলে এই দ্বিতীয় অধ্যারে যে জীবাত্মার স্বরূপ বা সাংখ্যজ্ঞান কথিত উইয়াছে, এবং গীতার দ্বৈতাদ্বৈতবাদ ও বহুপুরুষবাদ প্ৰভৃতির কিরূপ সামঞ্জস্য হইল্পাছে, তাহা বুঝা যাইবে । উক্ত শ্লোকের ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য। এই শ্লোকে কেবল আত্মার অমরত্ব মাত্র বিজ্ঞাপিত হইয়াছে। অন্য SDBB BDBD DuD BDD DDD SS BDDS BBDB BB BDSDBDSuBu uB DDD DDD S উীব ও জগৎ সৎ অথবা পারমার্থিক ভাবে অসৎ, ইহার কিছুই উল্লিখিত *য় নাই । সুতরাং এই শ্লোক উপলক্ষে অন্য তত্ত্বের আলোচনা নপ্রয়োজন। এস্থলে কেবল বুঝতে হইবে যে, তােমার বা মুমার কাহারও আত্মার স্বরূপতঃ আদি নাই, অন্ত নাই, জন্ম দ্বারা তাহার উৎপত্তি হয় না ও দেহনাশে তাহার নাশ হয় না। যাহা হউক এই অধ্যায়ে “তুমি আমি এই নরপতিগণ” প্রভৃতি বহুব্যক্তির কথা আছে, সেইরূপ ইহাদের সকলকে “দেহী” বলা হইয়াছে। ঈর্থাৎ বহু-দেহ-সংযোগ হেতু আত্মার পৃথকৃত্ব ব্যবহারিক ভাবে অঙ্গীকৃত ইয়াছে। তাহাতে অদ্বৈতবাদের সহিত বিরোধ হয় নাই।