পাতা:শ্রীমদভগবদগীতা - দেবেদ্রবিজয় বসু.pdf/৪৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\9)V শ্ৰীমদ-ভগবদগীতা। ও সাধনা বলে সত্ত্বগুণ।প্ৰধান হইয়াছেন, তাহার পক্ষেই সাধনা বলে স্বপ্রকৃতিকে বশীভুত করিয়া, তাহাকে পরিচালিত করা সম্ভব। কিন্তু যিনি রজঃ বা তমোগুণ- প্ৰধান, তিনি তাহ পারেন না । তিনি জ্ঞানী হইতে পারেন না,-কৰ্ত্তব্য বুদ্ধি দ্বারা রজোগুণজ কৰ্ম্মকে পরিচালিত করিতে পারেন না । যিনি সত্ত্ব প্ৰধান তিনিই তাহ পারেন। অর্থাৎ যখন তঁহার প্রকৃতিতে রজোগুণের বিকাশ হইয়া কৰ্ম্ম হয়, তখন তাহা নিয়মিত করিতে পারেন, আর যখন তমোগুণের সমুদ্রেক হয়, তখন তাহাকেও নিয়মিত করিতে পারেন। আমরা আরও বলিতে পারি যে, যাহাঁদের সত্ত্ববৃদ্ধি হেতু চিত্ত নিৰ্ম্মল হইয়াছে, সেই চিত্তে সচিদানন্দঘন আত্মা প্ৰতিবিম্বিত হইয়া, তাহাতে তিনটি রূপ বুক্তর বিকাশ হয়,-জ্ঞানবৃত্তি, কৰ্ম্মবৃত্তি ও সুখ ভোগের জন্য ইচ্ছাবৃত্তি । সকলের এই তিন বৃত্তির সমান বিকাশ হয় না। এজন্য এই বুত্তি হেতু কেহ জ্ঞানী, কেহ কৰ্ম্মী, কেহ ভোগী হয়। অর্থাৎ কেহ জ্ঞান-প্রধান, কেহ কৰ্ম্ম-প্রধান, কেহ বা ভোগ-প্রধান হয় । জ্ঞানযোগ দ্বায়া এই জ্ঞানকে নিয়মিত করিতে হয়, কৰ্ম্মযোগ দ্বারা কৰ্ম্মকে নিয়মিত করিতে হয় এবং ভক্তিযোগ দ্বারা ভোগবৃত্তিকে নিয়মিত করিতে হয়। প্ৰকৃতিপুরুষ বিবেক-জ্ঞান দ্বারা এই নিয়মান সম্ভব হয়। ইহার ফলেই জ্ঞানের পূর্ণ স্মৃত্ত্বি ও পরিণতি হয়, কম্মের f স্মৃত্ত্বিও পরিণতি হয় এবং আনন্দের পূর্ণ স্মৃত্তি ও পরিণতি হয়। মানুষ এই জ্ঞান, কৰ্ম্ম ও ভক্তিবৃত্তির সাধনা বলে ক্ৰমে জ্ঞান কৰ্ম্ম ও আনন্দের পূর্ণরূপ বা সচ্চিদানন্দ স্বরূপ পুৰ্ণােদশের দিকে অগ্রসর হইতে পারে। যাউক, সে তত্ত্ব এস্থলে বুঝিবার আবশ্যক নাই। কিন্তু ইহাই গীতার মূল সুত্র। পরে ইহা বিবৃত হইবে। যাহা হউক, এস্থলে কেবল কৰ্ম্মবৃত্তির কথা উক্ত হইতেছে। এই কৰ্ম্মবৃত্তির বিকাশ ও পরিণতির জন্য, কৰ্ম্মীর পূর্ণাদর্শ যে ভগবান, তাহার