পাতা:শ্রীমদভগবদগীতা - দেবেদ্রবিজয় বসু.pdf/৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।


হইয়াছে। আশা করি, যাঁহারা গীতার প্রকৃত অর্থজিজ্ঞাসু, এই বিজয়া ব্যাখ্যা কতক পরিমাণে তাঁদের সহায় হইবে।


== প্রায় ত্রিশ বৎসর অতীত হইল, আমরা এই গীতানুবাদে প্রবৃত্ত হই। তখন এ দেশে ‘শিক্ষিত’ সম্প্রদায় মধ্যে গীতার সেরূপ প্রচলন ছিল না। তখন গীতার ভাল সংস্করণও পাওয়া যাইত না। তখন কেবল পণ্ডিত হিতলাল মিশ্রের অনুবাদ সহ গীতা আদি ব্রাহ্মসমাজ কর্তৃক প্রকাশিত হইয়াছিল। তাহা সংগ্রহ করিতে পারি নাই। বটতলার ছাপা গীতা মাত্র অবলম্বন করিয়া, এবং পণ্ডিত ত্র্যম্বক তেলাং প্রণীত পদ্যানুবাদ উপলক্ষ্য করিয়া এই অনুবাদে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম। তখন আমাদের দেশে 'শিক্ষিত' যুবকগণ গীতার নাম ও জানিতেন কি না সন্দেহ। তাহার পর ‘হিন্দু ধর্ম্মের' “পুনরুখান” হয়, অর্থাৎ “শিক্ষিত” সম্প্রদায় মধ্যে সনাতন ধর্ম্ম-চৰ্চা আরব্ধ হয়, এবং তাহার সহিত গীতার আলোচনাও আরব্দ হয়। পণ্ডিত শ্রীসক্ত শশধর তর্কচূড়ামণি মহাশয়, কুমার শ্রীকৃষ্ণ প্রসন্ন সেনের সঠিত এই ধর্ম্মগ্লানির যুগে ধর্ম্ম-সংস্থাপন জন্য প্রবৃত্ত হন। 'বঙ্গবাসী' তাঁহার চেষ্টার সহায় হন,— এবং বঙ্কিমবাবু, চন্দ্রনাথবাবু, অক্ষয়বীর প্রভৃতি শেষ্ঠ লোক তাহার অনুবর্ত্তী হন। 'নবজীবন' ও 'প্রচার' এই উদ্দেশে প্রকাশিত হইতে আরম্ভ হয়। তাহার ফলে অধিকাংশ শিক্ষিত সম্প্রদায়, সনাতন ধর্ম্মের আলোচনায় প্রবৃত্ত হন। এই সময় হইতেই বাঙ্গালায় গীতাযুগের আরম্ভ। অনেকগুলি গীতার সংস্করণ প্রকাশিত হয়। তাহাদের মধ্যে কৈলাসচন্দ্র সিংহ মহাশয়ের শাঙ্করভাষ্য স্বামিকৃত ও গিরিকৃত টীকা এবং অনুবাদ সহ গীতা প্রথম ও প্রধান। সেই সময়ে বঙ্কিমবাবু 'প্রচারে' গীতা-ব্যাখ্যা প্রকাশ করিতে আরম্ভ করেন। আমরাও তখন 'দৈনিক' পত্রে বঙ্কিমবাবুর এই ব্যাখ্যার ধারাবাহিক সমালোচনার প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম। যাহা হউক, এই সময়ে পণ্ডিত শ্রীমুক্ত শশধর তর্কচূড়ামণি মহাশয়ের অনুবাদ সহ গীতাও বঙ্গবাসী