পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - প্রসন্নকুমার শাস্ত্রী ভট্টাচার্য্য.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SՀե ՝ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা নোভগব।দ্বিমুখ ইত্যত্ৰ হেতুমহি ভগবান অব্যক্তমিতি । অব্যক্তং দেহগ্ৰহণাৎ প্ৰাক কাৰ্য্যাক্ষমত্বেন স্থিতমিদানীং বসুদেবগৃহে ব্যক্তিং ভৌতিকদেহাবচ্ছেদেন কাৰ্যক্ষমতং প্ৰাপ্তং কিঞ্চিজজীবমেব। মন্যন্তে মামীশ্বরমপ্যবুদ্ধয়োবিবেকাশূন্যঃ অব্যক্তং সৰ্ব্বকারণমপি মাং ব্যক্তিং কাৰ্যরূপতাং মৎস্যকুৰ্ম্মাদ্যনেকাবতাররূপেণ প্রাপ্তমিতি বা। কথং তে জীবাশ্বাং ন বিচিন্বন্তি তত্ৰাবুদ্ধয় ইত্যুক্তং।। হেতুং বিবৃণোতি পরং সৰ্ব্বকারণরূপমব্যয়ং নিত্যং মম ভাবং স্বরূপং সোপাধিকমজানন্তস্তথা নিরূপধিকমপ্যানুত্তমং সর্বোৎকৃষ্টমনতিশয়াদ্বিতীয়পরমানন্দঘনমনন্তং মম স্বরূপমজানন্তোজীবানুকারিকাৰ্য্যদশনাজজীবমেব। কিঞ্চিম্মাং মন্যন্তে, ততোমামীশ্বরত্বেনাভিমতং বিহায় (প্ৰসিদ্ধং দেবতান্তরমেব ভজন্তে, ততশ্চান্তবদেব ফলং প্রাপ্লবন্তীত্যৰ্থঃ । অগ্ৰে চ ব্যক্ষ্যতে “অবজানন্তি মাং মুঢ়া মানুষীং তনুমাশ্রিতমি”তি ॥ ২৪ ৷৷ ং, অং।। আমার ( আত্মার ) যে প্ৰকৃত স্বরূপ আছে, তাহ অব্যক্ত, তাহাতে কোন প্ৰকার বিশেষণের আরোপ করা যায় না,-তাহাকে কৰ্ত্তা বলা যায় না, সংহর্তা বলা যায় না, কিম্বা পালগ্নিতা, ঈশ্বর, প্ৰভু, স্ত্রী, পুরুষ, ক্লাব, সুন্দর, কুৎসিত, দয়াবান, ক্ষমতাবান ইত্যাদি কোন প্রকার বিশেষণের যোগ করা যায় না, কারণ জড় বস্তুর উপাধিরই এই সকল বিশেষণ সম্ভবে, কিন্তু আমার সেই অবস্থা কর্তৃত্ব, পালগ্নিতৃত্বাদি সমস্ত গুণের অতীত কেবলমাত্র চিৎ বা চৈতন্য পদার্থ, তাহাতে আর কিছুরই যোগ নাই, ভ্ৰান্তিবশাৎ যেরূপ মরীচিকায় জলজ্ঞান হয়, এই চিৎস্বরূপ পরমাত্মাতেও তেমনি ভ্ৰান্তিবশেই এই অনন্ত ব্ৰহ্মাণ্ড দেখাইতেছে, সেই পরমাত্মাতেই স্থাবর, জঙ্গম, মনুষ্য, গো, অশ্ব, পক্ষী প্রভৃতি নানাপ্রকারের আকৃতি দেখা যাইতেছে, বাস্তবিকপক্ষে তিনিই এই সকল এবং এই সমস্তই তিনি, কিন্তু তাই বলিয়া যদি তাহার প্রকৃতস্বরূপ না বুঝিয়া, না দেখিয়া, এই সকল বস্তুকেই ব্ৰহ্ম বা আত্মা বলা হয়, তবে ঘোর ভ্রান্তির কথা হইল। মনে কর, একজন লোকের রাজুতে সর্পভ্ৰম হইয়াছে, এখন যদি সেই বালকটী প্রকৃত রজ্জ্বর তত্ত্ববাৰ্ত্তা কিছুমাত্র না শুনিয়া, না জানিয়া, না দেখিয়া, ঐ সর্পজ্ঞান সত্ত্বেই এমন কথা বলে যে “এই সৰ্পই রাজু” তবে তাঙ্গার এই কথাটা মিথ্যা কথা হইল, কারণ সৰ্প আর রজ্জ্ব বাস্তবিক এক পদার্থ হইলেও সেই বালকটী যে উহাকে রাজুর ভাবে গ্ৰহণ না করিয়া ঐ সৰ্পের ভাবেই রজ্জ্বকে বুঝিতেছে, তাহা সত্য নহে, কিন্তু সে যদি রাজুর ভাবে ঐ বস্তুটা দেখিয়া “এই সৰ্পই রাজু” এইরূপ কথা বলিত, তাহা হইলেই সত্য কথা তইত, সেইরূপ ব্ৰহ্মের ভাব না বুঝিতে পারিয়া কেবল জড় জগতের ভাপটি মনে করিয়া যদি কেহ “এই জগৎ ব্ৰহ্ম।” এইরূপ কথা বলে, তবে মিথ্যা কথা হইল, কারণ জগৎ পদার্থই যখন মিথ্যা, তখন কেবলমাত্র জগৎ পদার্থটির ভাব মনে করিয়া যদি “ইতাই ব্ৰহ্ম।” এইরূপ বলা হয়, তবে তাহার ব্ৰহ্মও ভূয়া পদার্থ হইয়া গেল, আর যদি ব্রহ্মের ভাব বুঝিয়া, ব্ৰহ্ম ব্যতীত আর কিছু না দেখিয়া “এই জগৎকে কেহ ব্ৰহ্ম বলে, তবে আর মিথ্যা হয় না। এই হইল বাস্তবিক তত্ত্ব, অতএব যাহারা আমার ‘(আত্মার ) সেই অব্যক্ত, অব্যয়, অনুত্তম, ( যাহা হইতে আর উত্তম নাই) স্বরূপ ( পরমাত্মাবস্থা ) না দেখিয়া না বুঝিয়া ( সেই পরমাত্মাতেই ) রজ্জ্ব, সর্পবৎ ভ্রান্তি বিজস্তিত মিধ্যাভূত যে সকল দেহ আছে, (ইন্দ্র, বরুণ, কৃষ্ণ, রাম, বিষ্ণু, ব্ৰহ্মা, শিব, কালী,