পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - প্রসন্নকুমার শাস্ত্রী ভট্টাচার্য্য.pdf/৫০৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪৯২ - , শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা । পচতি পঠতীতি বা ক্রিয়াতঃ, শুরুঃ কৃষ্ণ ইতি বা গুণতঃ, ধনী গোমানিতি বা সম্বন্ধতোহাৰ্থং প্ৰত্যায়য়তি শব্দঃ, অত্র ক্রিযাগুণসম্বন্ধেভ্যোবিলক্ষণঃ সৰ্বোহপি ধৰ্ম্মোজাতিরূপ উপাধিরূপোবা জাতিপদেন সংগৃ‘লীতঃ যাদৃচ্ছিাশব্দোহপি ডিখডবিখ্যাদিৰ্ষং কঞ্চিদ্ধৰ্ম্মং স্বাত্মানং বা প্রবৃত্তিং নিমিত্তীকৃত্য প্ৰবৰ্ত্তত ইতি সোহপি জাতিশব্দঃ, এবমাকাশশব্দোহপি তার্কিকাণাং শব্দাশ্ৰয়ত্বাদিরূপং যং কঞ্চিন্ধৰ্ম্মং পুরস্কৃত্য প্ৰাবওঁতে স্বমতে তু। পৃথিব্যাদিবদাকাশব্যৰ্ত্তীনাং জন্যানমনেক ত্বদাকাশত্বমপি জাতিরোবেতি সোহপি জাতিশব্দঃ আকাশাতিরিক্ত চ দিঙনাস্ত্যেব কালশচ নেশ্বরাদিতিরিচ্যতে, অতিরেকে বা দিকলশব্দাবপুত্বপাধিবিশেষপ্রবৃত্তিনিমিত্তকাবিতি জাতিশব্দাদেব তস্মাৎ প্ৰবৃত্তিনিমিত্তচাতুৰ্ব্বিধ্যাচ্চতুৰ্ব্বিধএব শব্দঃ তত্ৰ ন সত্তান্নাসদিতি জাতিনিষেধঃ ক্রিয়াগুণসম্বন্ধানামপি নিষেধোপলক্ষণার্থঃ একমেবাদ্বিতীয়মিতি জাতিনিষেধস্তন্য অনেক ব্যক্তিবৃত্তেরেকস্মিন্ন সম্ভবাৎ, নিগুৰ্ণং নিক্ৰিয়ং শান্তমিতি গুণক্রিয়াসম্বন্ধানাং ক্ৰমণ নিষেধঃ অসঙ্গোহয়ং পুরূষ ইতি চ অথাত আদেশোনেতি নেতীতি চ সৰ্বনিষেধ, তস্মাৎ ব্ৰহ্ম ন কেনচিচ্ছন্দেনোচ্যত ইতি যুক্তং । তহিঁ কথং প্রবক্ষ্যামীভুক্তং কথং বা “খাস্ত্ৰযোনিত্বাদিতি” সুত্ৰং ৷ ‘ যথা কথঞ্চিল্লক্ষণীয়া শব্দেন প্ৰতিপাদনাদিতি গ্ৰহণ প্ৰতিপাদনপ্রকারিশ্চাশ্চৰ্য্যাবৎ পশ্যতি কশ্চিদেনমিত্যত্র ব্যাখ্যাতঃ বিস্তরস্তু ভায্যে দ্রষ্টব্যঃ ॥ ১২ ৷ বং, অং। এখন যাহা জানিতে পারিলে, অমৃত ( মোক্ষ ) লাভ করিতে পারে, সেই একমাত্র বিজ্ঞেয় অনাদিমৎ পরব্রহ্ম পদার্থটি কিরূপ, তাহা বিশেষরূপে বলিতেছি,-তিনি, ইন্দ্ৰিয় এবং মনোগোচর যে কোন প্রকার সৎ বা অসৎ পদার্থ আছে, তাহার কিছুই নহেন। ইহাই তাহার প্রকৃত স্বরূপের লক্ষণ। কিন্তু ইহাদ্বারা, বোধ হয় তুমি কিছুই বুঝিতে পারিলে না, অত এব তটস্থ লক্ষণের দ্বারা (ক) (ত্রয়োদশ শ্লোকে ) তাহার বর্ণনা করা যাইতেছে, তাহা হইলে অনেকটা বুঝিতু পরিবে ॥ ১২ ৷ (ক) প্ৰত্যেক বস্তু দুই প্রকার লক্ষণের দ্বারা বুঝা যাইতে পারে,-এক স্বরূপ লক্ষণ, অপর তটস্থ লক্ষণ। কোন কথার অর্থ বুঝাইতে গিয়া, যে বিশেষণটীি বলিলে বিশেষ কিছু মৰ্ম্ম না বুঝিয়া কেবল সেই একরূপ অর্থই বুঝায়, অর্থাৎ পূর্বের কথার দ্বারাও যাহা বুঝিয়াছিলাম, পরের কথার দ্বারাও ঠিক-আহাই বুঝা যায়, তাহাকে স্বরূপ লক্ষণ বিশেষণ বলে, যেমন কলস এবং কুম্ভ। এখানে কুম্ভ, কলসের স্বরূপ লক্ষণ বিশেষণ হইল, আবার কলসও কুম্ভের স্বরূপ লক্ষণ বিশেষণ হইতে পারে ; কারণ এখানে কুম্ভ শব্দের দ্বারা প্ৰকলসের, কিম্বা কলস শব্দের দ্বারা কুস্তের বিশেষ কিছু মৰ্ম্মই মুঝা যায় না । কুম্ভ বলিলেণ্ড যেরূপ বুঝা যায়, কলস বলিলেও, সেইরূপই বুঝা যায়, বিশেষ কিছুই প্ৰতীতি হয় না, অথবা আর একটা দৃষ্টান্ত শুন,-কেহ তোমাকে জিজ্ঞাসা করিল যে, “ফাক পদার্থটি কিরূপ, তাহা আমি জানিতে চাই,” তখন তুমি বলিলে যে “ফাকটা শূন্য পদার্থ,” কিন্তু এই "শূন্ত কথাটার দ্বারা ‘ফলকের কোন মৰ্ম্মই বুঝা গেল না, ফাক, বলিলেও যেরূপ অৰ্থ বুঝা যায়, শূন্য বলিলেও সেইরূপ বুঝা"গ্ন্যায়, অতএব শূন্য কথাটা ফাকের স্বরূপ লক্ষণ বিশেষণ হইল। এই" গেল স্বরূপ লক্ষণের বিবরণ ! আবার অন্ত কোন বস্তুর সাহায্যে যদি অন্য কোন বস্তুকে লক্ষ্য করা যায়, তবে