পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - প্রসন্নকুমার শাস্ত্রী ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१२४ শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা । স্বামিকৃতটাকা। তদেবং প্রশংসয়া শ্রোতারমভিমুখীকৃত্য পরমেশ্বরাধীনয়ো প্রকৃতিপুরুষয়োঃ সৰ্ব্বভুতোৎপত্তিং প্রতি হেতুত্বং ন স্বতন্ত্রয়োরিতীমং বিবক্ষিতমৰ্থং কথয়তি মন্মেতি। “দেশতঃ কালতশ্চাপরিচ্ছিন্নত্বান্মহৎ বৃংহিতত্বাৎ স্বীকাৰ্য্যাণাং বৃদ্ধিহেতুস্বাদ্ধা ব্ৰহ্ম প্রকৃতিরিত্যৰ্থং। তন্মহদ্বন্ধ মম পরমেশ্বরস্ত যোনিষ্ঠুর্ভাধানস্থানং, তস্বিন্নাহং গৰ্ভং জগদ্বিস্তারহেতুং চিদাভাসং দধামি নিক্ষিপামি প্রলয়ে ময়ি লীনং সন্তমক্সিন্তাকামকৰ্ম্মানুশয়বন্তং ক্ষেত্ৰজ্ঞং শুষ্টিসময়ে ভোগ্যেন ক্ষেত্রেণ সংযোজয়ামীতাৰ্থ, ততোগৰ্ভাধানাৎ সৰ্ব্বভূতানাং ব্ৰহ্মাদীনাং সম্ভব উৎপত্তিভঁবতীতি ৷৷ ৩ ৷৷ মধুসূদনসরস্বতীকৃতটীকা । তদেবং প্ৰশংসয় শ্রোতারমভিমুখীকৃত্য পরমেশ্বরাধীনয়োঃ প্ৰকৃতিপুরুষয়োঃ সৰ্ব্বভুতোৎপত্তিং প্রতি হেতুত্বং ন তু সাঙ্খ্য্যসিদ্ধান্তব্যুৎ স্বতন্ত্রয়োরিতীমং বিবক্ষিতমর্থনাহ দ্বাভ্যং। -- সৰ্ব্বকাৰ্য্যাপেক্ষয়াহধিক স্থাৎ কারণং মহৎ সৰ্ব্বকাৰ্য্যাণাং श्रुक्श्ट्रिরূপাৎ বৃহণত্বাৎ ব্রক্স--- অব্যাকৃতং প্রকৃতিন্ত্রিগুণাত্মিক মায়া মহৎ, ব্ৰহ্ম তচ্ছ “মমেশ্বরম্ভ যোনির্গর্ভাধানস্থানং, তস্মিন মহতি ব্ৰহ্মণি যোনীে গৰ্ভং সর্বভূতজন্মকারণং অহং বহু স্যাং প্ৰজায়েতীক্ষণরূপং সঙ্কল্পং দধামি ধারয়ামি তৎসঙ্কল্পবিষয়ীক রোমীতাৰ্থ । যথা হি কশ্চিৎ পিতা পুত্ৰমনুশায়িনং বাহাদ্যাহাররূপেণ স্বস্মিন লীনং শরীরেণ যোজয়িতুং যোনীে রেতঃসেকপূর্বকং গৰ্ভমাধত্তে, তস্মাচ্চ গর্ভাধানাৎ স পুত্রঃ শরীরেণ যুজ্যতে, তদৰ্থং চ মধ্যে কলালাদ্যবস্থা ভবতি, তথা প্রলয়ে ময়ি লীনমবিদ্যাকামকৰ্ম্মানুশয়বস্তং ক্ষেত্ৰজ্ঞং স্বষ্টিসময়ে ভোগ্যেন ক্ষেত্রেণ কার্যকরণসংঘাতেন যোজয়িতুং চিদাভাসাখ্যারেতঃসেকপূর্বকং মায়াবৃত্তিরূপং গর্ভমহামাদধামি তদৰ্থং চ মধ্যে আকাশবায়ুতেজোজলপৃথিব্যাঘ্ৰ্যুৎপত্ত্যিবস্থা ততোগর্ভাধানাৎ সম্ভবউৎপত্তিঃ হিরণ্যগৰ্ভাব্দীনাং ভবতি হে ভারত ! নস্বীশ্বরকৃতগর্ভাধানং বিনেত্যৰ্থ ৷৷ ৩ ৷৷ বং, সুং।। হে ভারত ! ত্ৰিগুণাত্মিক বা ত্ৰিশক্তিস্বরূপ প্ৰকৃতিকেই আমার ( আত্মা বা ব্ৰহ্মের) যোনি ( সস্তানোৎপত্তিস্থান ) বলিয়া জানিবে, সেই প্ৰকৃতিতে আমি গৰ্ত্তাধান করিয়া থাকি, তাহা হইতেই সৰ্ব্বভূতের সৃষ্টি হইয়া থাকে ৷৷ ৩ ৷৷ (ক) (ক) এই শ্লোকটীতে সুতি গুরুতর কথা নিহিত আছে, সেই মৰ্ম্ম বিস্তাররূপে বুঝাইতে গেলে, দ্বিতীয় একখানি গ্ৰন্থ হইয়া পড়ে, এজন্য এখানে বলিলাম না, পরন্তু, ধৰ্ম্মব্যাখ্যাতেই ইহা অতি বিস্তারমতে দেখিতে পাইবেন, কিন্তু এই গুরুতর বিষয়টি আপনাদিগকে কিছুমাত্র না বুঝাইয়া একেবারে পরিত্যাগ করিতেও মনঃকষ্ট অনুভূত হয়, অতএব সজেক্ষপে কিছু না বলিয়া থাকিতে পারিলাম না”। দুই প্রকার ঘটনা দ্বারা সন্তানের উৎপত্তি হইয়া থাকে, তাহার একটিষ্ট, এখানে দৃষ্টান্তের অবতারণার নিমিত্ত্বে অবশ্যক হইয়াছে, অতএব সেই একটি প্রণালীই এখানে বলা যাইতেছে। অতীব সুন্ম, কেবল শক্তি মাত্র স্বরূপে অবস্থিত জীবসকল, ঘটনা ক্রমে, বিবিধ খাদ্য দ্রব্য অথবা বায়ুর সহিত সংশ্লিষ্ট হইয়া পিতার দেহে প্ৰবেশ করে, পরে তাহা এমত অভিন্ন ভাবে, পিতার