পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - প্রসন্নকুমার শাস্ত্রী ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

5g%ርቫiእቫViፃ፡ ̆† &२१ আত্মার সহিত মিশিয়া যায়, যে কোন প্রকারেও তাহদের পার্থক্যের অনুভব করা যায় না, যেন একবারে একই হইয়া যায়। পরে যখন স্ত্রী আর পুরুষের যোগ হয়, তখন ঐ বিলীন শক্তিটুকু ৷ আবার বিশ্লিষ্ট হইয়া পিতার দেহের অণুমাত্র ভৌতিক পদার্থের আশ্রয় পূর্বক মাতৃ জরায়ুতে প্ৰবেশ। ঋরি। আবার মাতার দূৈহে একবারে সমবেত হইয়া যায়, পুরে মাতা হইতেই দোষ্ট্রের পুষ্টিসাধন পূর্বক, মাতা হইতে বিশ্বলিত হইয়া জন্ম গ্ৰন্থণ করে। এক এক বার महथिलन পর, ব্ৰহ্ম আর প্রকৃতি হইতেও ঠিক এইরূপেই জীবের উৎপত্তি কুইয়া থাকে। মহত্তত্ব হইতুৈ পৃথিব্যাদি যত প্রকার জন্য পদার্থ আছে, এতৎ সমস্তই, মহাপ্ৰলয় কালে ত্ৰিগুণাত্মিক বা ত্ৰিশক্তিস্বরূপা প্ৰকৃতিতে বিলীন হইয়া যায়, তখন কোন প্রকার জন্য বস্তুরই অস্তিত্ব খুকে না, একমাত্র প্রকৃতিও চিৎস্বরূপ ব্রহ্মের সহিত অভেদভাবে মিশিয়া যায়, প্রত্যেক জীবের, যে পৃথক পৃথক জীবনী শক্তি আছে, তাহাও ঐ” প্রকৃতিতেই বিলীন হইয়া যায়, কারণ উইণ্ডুিৎপ্রকৃতিজন্য পদার্থ। এদিকে প্রত্যেক জীবের অবলম্বন স্বরূপ বা আত্মস্বরূপ যে পুথুষ্ক পৃথক্ ও ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র চৈতন্যের অনুভব হইতেছে, তৎসমস্তই সেই অপরিমিত চৈতন্য-সমুদ্রে এক হইয়া যায়, ইহাদের কিছুমাত্র পার্থক্যের অনুভব হয় না, তখন, ‘একমাত্র পরমাত্মাই বিদ্যমান থাকেন।” পরে যখন মহাপ্রলয়ের অবসান হয়, তখন ঐ মায়া বা ত্ৰিগুণাত্মিক অথবা ত্ৰিশক্তিস্বরূপ প্রকৃত্ত্বি, সহিত ঐ চৈতন্যম্বরূপ আত্মা বা পুরুষের পূৰ্ব্বোক্ত অধ্যােসম্বরূপ সংযোগ থাকাতে সেই পূৰ্ব্ব বিলীন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জীব চৈতন্যগুলি, সেই সুবৃহৎ চৈতন্যম্বরূপ পিতা হইতে যেন १थ१ड्रड ইয়া পড়ে। তখন তাহারা সেই পূৰ্বাবিলীন আপনি আপন জীবনী শক্তিও গ্ৰহণ করে এবং ত্ৰিগুণাত্মিক, প্রকৃতিস্বরূপ মাতাতে সমবেত হইয়া যায়, এই হইল প্ৰকৃতির গর্ভাধান ব্যাপার। পরে ঐ প্রকৃতি হইতেই, জ্ঞানশক্তি, ক্রিয়াশক্তি, এবং পোষণশক্তি সংমিশ্রিত বুদ্ধি, অভিমান, মনও ইন্দ্ৰিয়াদি শক্তির করিয়া অসঙ্খ্য জীবের পৃথক পৃথক কারণ দেহ বা সূক্ষ্ম দেহ সংগঠিত হয়, তখনই পৃথক পৃথক জীবের জন্ম হইল বলা যায়। তৎপর সেই জীব হইতেই, প্রকৃতির অংশ সকল গ্ৰহণ করিয়া যথাক্রমে, ব্ৰহ্মা অবধি কীট পতঙ্গ পৰ্যন্ত সমস্ত প্রাণিদেহের বিকাশ হইয়াছে। অতএব ব্ৰহ্ম বা আত্মাই জগতের পিতা, এবং ত্ৰিগুণাত্মিক প্ৰকৃতিই এই জগতের মাতা। বলা বাহুল্য যে, এই গুরুতর বিষয়ের কেবল একটু আভাস মাত্ৰই এখানে প্ৰদৰ্শিত হইল, বাস্তবিক ইহার সমস্ত কথাই বলিতে অবশিষ্ট থাকিল। সৰ্বযোনিষু কৌন্তেয়! মূৰ্ত্তয়ুঃ সম্ভবন্তি যাঃ।. তাসাং ব্ৰহ্ম মহদযোনিরহং বীজপ্ৰদঃ পিতা ॥৪৭ ग३, ५थ९ ।" কৌন্তেয়! সৰ্ব্বযােনিষু, যা মূৰ্ত্তয়ঃ সম্ভবন্তি, তাসাং ( মূৰ্ত্তীনাং ) { মহৎ - ব্ৰহ্ম মায়াখ্যা প্রকৃতি: ) যোনিঃ (কারণং) অহং বীজপ্ৰদঃ (গর্ভাধানকর্তা ) পিতা ৷৷ ৪ ৷৷