পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - প্রসন্নকুমার শাস্ত্রী ভট্টাচার্য্য.pdf/৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা । তাহাকে “ঘট” বলিয়া ব্যবহার করা যায়। আবারও অন্যরূপ অবস্থা বিশেষ হইলে, সেই মৃত্তিকাকেই “গৃহ” বা “কোঠা” বলা যায়, এবং আর একরূপ সংস্থান হইলে, তাহাকেই আবার ইষ্টকও বলা যায়, কিন্তু বাস্তবিকপক্ষে মৃত্তিকাও যে পদার্থ, ঐ ঘট, গৃহ ও ইষ্টকাদিও ঠিক সেই একই পদার্থ। ইহাতে অণুমাত্র সন্দেহের কারণ নাই। ভাব, যদি ঘট, গৃহ ও ইষ্টকাদি কথাগুলি প্রচলিত ও ব্যবহৃত না চাইত, তবে সাধারণ মৃত্তিক মনে করিয়া যেরূপ “মৃত্তিকা” ” এই কথাটি মাত্রই ব্যবহার করা হয়, ঘাট, গৃহ ও ইষ্টকাদি পদার্থগুলি মনে করিয়াও সেইরূপ কেবল “মৃত্তিকা” ব্লথাটি ভিন্ন আর কি কথা ব্যবহার করা হইত ? ফলপক্ষে তাহা হইলে ঘটপটাদি প্ৰত্যেক বস্তুকেই কেবল মৃত্তিকা বলিয়া ব্যবহার করিতে হইত। কিন্তু ব্যবহার ক্ষেত্রে থাকিলে, ভিন্ন DD BBDDB DBDDDBD DBBDDBBD D DD DBB BDBDDD D DBBBB BB DBBDD BB z মনে 'কর, যদি ঘট আনিবার মানসেও “এক খণ্ড মৃত্তিক আন” বলা হয়, আবার একখানি ইষ্টক আনিতে বলিতেও “একখণ্ড মৃত্তিকা আন” এই কথাই বলা হয়, তবে যে লোকটিকে উহা আনিতে বলা হয়, সে নিতান্ত বিপদেই নিপতিত হয়, কিছুই বুঝিতে পারে না, তাহার কিছুই আয়ত্ত করা সম্ভবে না। আর যদি ঘটাকার মৃত্তিক এবং ইষ্টকাদির আকার মৃত্তিকার আকৃতি বর্ণনা পূর্বক বুঝাইয়া দিয়া পরে “এইরূপ মৃত্তিক খণ্ড লইয়া আইস” এইরূপ বলা হয়, তাহাও অনেক সময়ের কৰ্ম্ম। এনিমিত্ত একই মৃত্তিক পদার্থকে “ঘট ইষ্টকাদি” পৃথক পৃথক নামে ব্যবহার মাত্র করা হয় । সুতরাং মৃত্তিক হইতে পৃথক করিয়া ঘট ইষ্টকাদির অস্তিত্ব বা সত্তাও কেবল ব্যবহারের - নিমিও একটা মুখের কথার সত্তা বা অস্তিত্ব মাত্র ; বাস্তবিক কল্পে উহ। কিছুই না। বাস্তবিক, • মৃত্তিকাই সত্য পদার্থ। আবার আর একটু চিন্তা করিলে দেখিবে যে, মৃত্তিকাও ঘটইষ্টকাদির ন্যায় একটা মুখের কথার পদার্থ উহাও মিথ্যা, উহারও বাস্তবিক সত্যতা ঘটে না ; কতকগুণি পরমাণুর এক প্রকার সন্নিবেশ হইলে তাহাকে মৃত্তিকা বলিয়া ব্যবহার করিয়া থাকে। আবার আর এক প্রকারে সন্নিবেশ হইলে, সেই পয়মাণুরাশিকেই কাষ্ঠাদি বলিয়া ব্যবহার করিয়া থাকে, সুতরাং মৃত্তিকা ও কাষ্ঠ প্রভৃতি দ্রব্যগুলি কতকগুলি পরমাণু রাশি ব্যতীত আর কিছুই না। তাহা হইলে এখন জানা গেল যে, ঘট ইষ্টকও পরমাণুরাশি ব্যতীত আর কিছুই নহে।” আবার পরমাণগ্রাশিও যখন উৎপন্ন পদার্থ, তখন তাহাও একটা কথার দ্রব্য মাত্র, বাস্তবিক কোন স্বতন্ত্র পদার্থ নহে। যে বস্তু হইতে পরমাণুরাশি বিকসিত হয়, তাহারই একটা নামান্তর মাত্র “পরমাণু,”। অতএব দৃশ্যমান ঘটপটাদি দ্রব্যগুলিকে পরমাণুৱাশি না বলিয়া যে দ্রব্য হুইতে পরমাণুরাশি প্ৰকাশিত হইয়াছে, সেই দ্রব্য বলিলেই ঠিক হয়। এইরূপ সুন্ম পৰ্য্যালোচনা করিতে করিতে ইহা নিশ্চয় হইয়া আইসে যে, সংসারে যত প্রকার বিকার পদার্থ আছে, তৎসমান্তই অসত্য, অর্থাৎ বাস্তবিক পক্ষে তাহার স্বতন্ত্র সত্তা নাই, কেবল ব্যবহারের मििभिड द्यकै यकैछ। भूहअन्न रुँक्ष भाद्ध । • যদি বিকার পদার্থমাত্রেরই বাস্তবিক অস্তিত্ব না থাকে, এবং কেবল মাত্র মুখের কথায় অস্তিত্ব ব্যবহার হয়, আর ঘট পটাদি দৃশ্যমান বস্তুমাত্রই বিকার পদার্থ হয়, তাহা হইলে দৃশ্যমান সমস্ত বস্তুইত মিথ্যা পদার্থ হইল, তবে কি এই সমস্ত জগৎ কেবল শূন্যময়,-অভৰময় ?