পাতা:শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা - প্রসন্নকুমার শাস্ত্রী ভট্টাচার্য্য.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 শ্ৰীমদ্ভগবদগীতা প্রভৃতি যাহা কিছু আছে, আর শীতােষ্ণ ও সুখ দুঃখাদি এবং তাহার কারণ এতৎ সমস্তই মিথ্যা পদার্থ, ইহার কিছুরই বাস্তবিক, অস্তিত্ব নাই, কেবল মুখের কথায় অস্তিত্ব মাত্র। ভাবিয়া দেখ, এই দেহটা যদিও অস্থি, মাংস, মজ্জা, মেদ ও নাড়ী প্ৰভৃতির সমষ্টি স্বরূপ S BDBBS BDBDBB BDBBDB DDD DDS BBDS S SDDDS DBDBS sDDD DBBB BDDS BBDu uBD একটু রূপান্তর ব্যতীত আর কিছুই নহে। লোকে য়ে সকল দ্রব্য, আহার করে, সেই সকল BDu DDSKDBB BBBDB DDBB BBSDSSS DDDD S SYL KBS GDDB DDSEB DBBDB পরিণত হয়, অতএব দেহ সম্বন্ধে সেই অন্নব্যঞ্জনাদি পদার্থই সত্য, আর এই অস্থি, মাংসাদির সমস্ত দেহটা মিথ্যা পদাৰ্থ । তবে কি না কথাবার্তা ও ব্যবহারের সুবিধার নিমিত্ত, একটু অবস্থান্তরে পরিণত সেই অন্ন ব্যঞ্জনাদি দ্রব্যগুলিকেই “দেহ” বলিয়া একটা সংজ্ঞা বা নাম দেওয়া হয়। বাস্তবিক ইহা কেবল সেই দাইল, তরকারী ব্যতীত আর কিছুই নহে। আবার সেই অন্ন ব্যঞ্জনাদির তত্ত্বান্ধের্ষণ করিলেও জানা যাইবে যে, উহাও মিথ্যা পদার্থ উহারও বাস্তবিক অস্তিত্ব নাই, কারণ কতকগুলি পার্থিব পরমাণু সমষ্টির কিছু একটু অবস্থান্তর হইয়াই অল্প ব্যঞ্জনাদি অবস্থা হইয়াছে, অতএব ব্যবহারের সুবিধার জন্য একটু পরিবৰ্ত্তিত অবস্থাগত পাৰ্থিৰ পরিমাণুৱাশিকেই “দাইল” “তরকারী” প্রভৃতি নামে ব্যবহার করা গিয়া থাকে । যখন অল্পব্যঞ্জন প্ৰভৃতি মিথ্যা পদার্থ, কেবল পার্থিব পরমাণুরাশির একটা নামান্তর মাত্র, তখন দেহটাও সেই পার্থিব পরমাণুরাশির সমষ্টিই হইল, তদ্ব্যতীত আর কিছুই নহে। আবার পরমাণুও যখন উৎপাদ ও বিনাশী এবং বিকার পদার্থ, তখন উহাদেরও বাস্তবিক অস্তিত্ব নাই, উহারাও মিথ্যা পদার্থ। যাহা হইতে পরমাণুৱাশির উৎপত্তি হইয়াছে, কিম্বা যাহার রূপান্তর হইয়া পরমাণুর অবস্থা প্ৰকাশ পাইয়াছে, তাহারই একটা নামান্তর "পরমাণু”। অতএব অন্নব্যঞ্জন এবং দেহপদার্থটাও সেই পরমাণুর মূল কারণ যে পদার্থটা (তন্মাত্র) তাহারই নামান্বর মাত্র। সুতরাং সকারণক দেহাদি সমস্ত পদার্থই भिथा কেবল মৃগতৃষ্ণায় জলের ন্যায় একটা মুখের কথার দ্রব্য মাত্র। ইন্দ্ৰিয়, মন, প্রাণ ও শীতোষ্ণ, সুখ-দুঃখাদিও এইরূপ উৎপত্তি বিনাশ বিশিষ্ট ৰিকার পদার্থ, অতএব উহারাও বাস্তবিক মিথ্যা পদার্থ অতএব ইহাদের কাহারই एअडिद्ध माहे । আবার যাহা সৎ, বা সত্যপদার্থ (অর্থাৎ আত্মা,-যাহা পূর্বে সত্তাস্বরূপ বলিয়াছি) তাহার কখনও অভাব হইতে পারে না । (কারণ সত্তা পদার্থের অভাব কখনই পরিদৃষ্ট হয় না, ইহা পূর্বেই বলিয়া আসিয়াছি। ) ব্ৰহ্ম-স্বরূপ-বিং পণ্ডিতগণ সৎ আর অসৎ এতদুভয়ের এই রূপ ব্যৰস্থা অবগত আছেন। অতএব তুমিও সেই তত্ত্বদৰ্শী মহাত্মাগণের পন্থাই স্মরণ করিয়া শোক মোহ “পরিত্যাগপুৰ্ব্বক শীতোষ্ণ ও সুখ-দুঃখাদি দ্বন্দুকে মৃগতৃষ্ণার জলের ন্যায় মিথ্যাবোধে •न कक्रि ग& ॥ ४७ ॥