পাতা:শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

3૨ર প্রীমদ্ভগবদগীতা । তাহা মৎপ্রণীত “ধৰ্ম্মতত্ব” গ্রন্থে বুঝাইয়াছি । কিন্তু ঐ গ্রন্থ সম্প্রতি মাত্র প্রচারিত হইয়াছে । এজন্ত পাঠকদিগের সুলভ ন হইতে পারে। অন্ত এব প্রয়োজনীয় অংশ নিয়ে উদ্ধত করিতেছি । “সাধারণ উপাসকের সহিত সচরাচর উপাস্ত দেবের যে সম্বন্ধ দেখা যায়, বৈদিক ধৰ্ম্মে উপাস্ত-উপাসকের সেই সম্বন্ধ ছিল । ‘হে ঠাকুর । অামার প্রদত্ত এই সোমরস পান কর । হবি ভোজন কর, আর আমাকে ধন দাও, সম্পদ দাও, পুত্র দাও, গোরু দাও, শস্ত দাও, আমার শক্রকে পরাস্ত কর।” বড় জোর বলিলেন ‘আমার পাপ ধবংস কর ।” দেবগণকে এইরূপ অভিপ্রায়ে প্রসন্ন করিবার জন্য বৈদিকেরা যজ্ঞাদি করিতেন । এইরূপ কাম্য বস্তুর উদ্দেশে যজ্ঞাদি করাকে কাম্যকৰ্ম্ম বলে । কাম্যাদি কৰ্ম্মাত্মক যে উপাসনা, তাহার সাধারণ নাম কৰ্ম্ম । এই কাজ করিলে, তাহার এই ফল ; অতএব কাজ করিতে হইবে-এইরূপ ধৰ্ম্মার্জনের যে পদ্ধতি, তাহারই নাম কৰ্ম্ম । বৈদিক কালের শেষভাগে এইরূপ কৰ্ম্মাত্মক ধৰ্ম্মের অতিশয় প্রাচুর্ভাব হইয়াছিল যাগযজ্ঞের দেীরাত্ম্যে ধৰ্ম্মের প্রকৃত মৰ্ম্ম বিলুপ্ত হইয়। গিয়াছিল । এমন অবস্থায়, উচ্চ শ্রেণীর প্রক্তিতাশাল ব্যক্তিগণ দেখিতে পাইলেন ধে, এই কৰ্ম্মাত্মক ধৰ্ম্ম বৃথা ধৰ্ম্ম। র্তাহাদের মধ্যে অনেকেই বুঝিয়াছিলেন যে বৈদিক দেবদেবীর কল্পনায় এই জগতের অস্তিত্ব বুঝা যায় না ; ভিতরে ইহার একটা অজ্ঞেয় কারণ আছে । র্তাহার সেই কারণের অসুসন্ধানে তৎপর হইলেন । এই সকল কারণ কৰ্ম্মের উপর অনেকে বীতশ্রদ্ধ হইলেন ।