পাতা:শ্রীমদ্‌ভগবদ্‌গীতা-বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.djvu/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় অধ্যায় । పినీడ এখন, বেদে কিছু প্রয়োজন নাই, এমন কথা, আমরা উনবিংশ শতাব্দীর ইংরেজের শিষা, আমির না হয় সহিস করিয়া বলিতে পারি, কিন্তু শঙ্করাচার্য্য কি শ্রীধর স্বামী এমন কথা কি বলিতে পারিতেন ? বেদ স্বয়ভুব, অপেীরুষেয়, নিত্য, সৰ্ব্বফল প্রদ । প্রাচীন ভারতবর্ষায়ের বেদকেই একটা ঈশ্বর স্বরূপ খাড়া করিয়া তুলিয়াছেন । কপিল ঈশ্বর পরিত্যাগ করিতে পারিয়াছিলেন, কিন্তু বেদ পরিত্যাগ করিতে পারেন নাই । বৃহস্পতি বা শাক্যংহ প্রভৃতি র্যাহার বেদ পরিত্যাগ করিরাছিলেন, তাহার হিন্দু-সমাজচ্যুত হইয়াছিলেন । অতএব শঙ্করাচাৰ্য্য কি শ্ৰীধর স্বামী হইতে এমন উক্তি কথন সন্তবে না যে, ব্রহ্মজ্ঞানীই হউক বা যেই হউক, কাহারও পক্ষে বেদ নিম্প্রয়োজনীয় । কাজেই ছাদিগকে এমন একটা অর্থ করিতে হইয়াছে যে, তাহাতে বুঝায় যে ব্রহ্মজ্ঞানেও যা বেদেও ত, একই ফল । তাহা হইলে বেদের মর্য্যাদা বtহtল রহিল । শেযে যে ব্যাথা লিখিত হইল, তাহার অর্থ বে ব্ৰহ্মজ্ঞানের তুলনায় বেদজ্ঞান অতি তুচ্ছ । এক্ষণে সেই “সৰ্ব্বেষু বেদেষু” অর্থে "বেদোত্ত্বেযু কৰ্ম্মস্থ” “বেদশব্দেনাত্র কৰ্ম্মকাণ্ডমেব গৃহতে ।” ইত্যাদি বাক্য পাঠক স্মরণ করুন। প্রাচীন টীকাকারদিগের উদ্দেশ্য বুঝিতে পরিবেন। এক্ষণে পাঠকের বিচাৰ্য্য এই যে দুইটা ব্যাখা, তাহীর মধ্যে একটার জন্য মূল কোন প্রকার পরিবর্তন করিতে হর না, যেমন আছে তেমনি ব্যাখ্যা করিলেই সেই অর্থ পাওরা যায় । কিন্তু সে ব্যাখ্যার পক্ষে কেহই সহায় নাই। আর একটা ব্যাখ্যার জন্ত কিছু নুতন কথা বসাইয়া কিছু কটকুট করিয়া লইতে হয়। কিন্তু সমস্ত টীকাকার, ভাষ্যকার ও অনুবাদক